কিশোরগঞ্জে এক কিশোর হাফেজ অপহরণের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ) ।।

কিশোরগঞ্জে মামুন মিয়া (১৫) নামে এক কুরআনে হাফেজকে অপহরণের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ব্যাপারে অপহৃত মামুনের মামা মোহাম্মদ এনামুল হক গত বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর ২০১৮) কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও শনিবার কিশোরগঞ্জ র‌্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামুন কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মো: মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।

পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে মামুন কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকার তাঁর মামা এনামুল হকের ভাড়া বাসা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বুধবার বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে ০১৭০৩২৬০৬২৩ নাম্বার হতে তাঁর বড় ভাইয়ের (০১৭২০৩৯২৩১৮) নাম্বারে অপরিচিত একজন ফোন করে বলে যে, মামুন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাঁকে বাঁচানো খুবই কঠিন। এ সময় ওই নাম্বার থেকে মামুনকে দিয়েও কথা বলানো হয়। মামুনও কান্নাজড়িত কণ্ঠে একই কথা বলে এবং দ্রুত ০১৭০৩২৬০৬২৩ নাম্বারে দশ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই মামুনের পরিবারের লোকজন ০১৭০৩২৬০৬২৩ নাম্বারে আট হাজার তিনশত টাকা পাঠায়। টাকা পাঠানোর পর একই নাম্বারে যোগাযোগ করে মামুনের অবস্থান জানতে চাইলে ভৈরব/নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষায় বলে যে, মামুনের কোনো কিছু হয়নি। সে টাকার সমস্যায় পড়ে সে-ই আমাদেরকে ফোন করতে বলেছিল। এখন সে সাভারে মাদ্রাসায় চলে গেছে। কিন্তু তখন থেকে অদ্যাবধি সাভারের মাদ্রাসাসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও মামুনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি যে নাম্বারে ফোন করে টাকা চেয়েছিল সেটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মামুনের পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।

মামুন তাঁর মামার ভাড়া বাসায় থেকে শহরের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে কুরআনে হাফেজ হয়। দেড় বছর আগে সে মাওলানা বিষয়ে পড়ার জন্য ঢাকার সাভারে তা’লীমুল কুরআন দারুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। গত বুধবার সে তাঁর মামার বাসা থেকে ঢাকার ওই মাদ্রাসার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো: ইকবাল হায়াত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!