বগুড়ার পল্লীগ্রামে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে কৃষকরা লাভবান

আজিজুল হক বিপুল, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।

উত্তর বগুড়ার পল্লীগ্রামে প্রতি ঘরে ঘরে গবাদি পশু পালন করে থাকে। এই গবাদি পশুর খাবার হিসাবে ব্যবহার হয় খড়, চালের গুড়া, ভুষি, ঘাস ইত্যাদি। অনেকেই আবার গরুর খামার করে সেখানে ১০ থেকে ৫০টি গরু পালন করেন। ফলে কিছু দিনের মধ্যে খড়সহ গো-খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।

তখন একমাত্র অবলম্বন হলো চালের খুদ, ভাত ও নেপিয়ার ঘাস। এই নেপিয়ার ঘাস এখন পল্লীগ্রামের মাঠে মাঠে সবুজের সমাহার। গরুর খাবার হিসেবে কৃষক অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন। অনেকেই আবার বাণিজ্যিক হিসাবে এই ঘাস চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন।

উত্তর-দক্ষিণ গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব ইউনুছ আলী জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় নেপিয়ার ঘাসের উৎপাদন খরচ অনেক কম এবং জমিতে একবার ঘাস লাগালে ৪০-৪৫ দিন পর পর ঘাস কাটা যায়। বছরে ৮বার ঘাস কাটার পরে মাঝে মাঝে শুধু একটু নিরানী, সার ও বিশেষ করে জৈব সার (গরুর গোবর) দিতে হয়। এতে করে এক বিঘা জমি থেকে বছরে প্রায় এক লাখ টাকার ঘাস বিক্রি করা যায়। অনেক সময় খামারিরা জমি থেকে ঘাস নিয়ে যায়। তাছাড়া শিবগঞ্জ, মহাস্থান, পীরগাছাসহ বিভিন্ন হাটে এই ঘাস পাইকারি বিক্রি করা যায়।

কৃষক আজমল হোসেন জানান, আমার ৩টি গরুর জন্য প্রতিদিন ঘাস কিনতে হতো প্রায় তিনশ’ টাকার। এখন ৩০ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করায় নিজের গরুর চাহিদা মিটিয়ে কিছু ঘাস বিক্রি করা যায়।

Similar Posts

error: Content is protected !!