মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা ।।
বাজিতপুর উপজেলার দুটি রেলস্টেশনের মধ্যে সরারচর রেলওয়ে স্টেশন অন্যতম। প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষ আন্তঃনগর এগারসিন্ধুর প্রভাতী, আন্তঃনগর এগারসিন্ধুর গোধূলী, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন দিয়ে যাত্রায়াত করে।
বেশীরভাগ যাত্রীদের অভিযোগ, নির্ধারিত মূল্যে টিকেট বিক্রি হচ্ছে না।
সরারচর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার মাস্টার মো: জসিম উদ্দিন ও কয়েকজন মিলে টিকিট কালোবাজারি করছে টিকেট নিয়ে।
আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের টিকেট র্নিধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০-৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। গত বছর কালোবাজারিতে টিকেট বিক্রির দায়ে কাউন্টার মাস্টার জসিম উদ্দিনকে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করার পরও এখনো কালোবাজারিতে টিকেট বিক্রি করছে।
বাজিতপুর উপজেলার সরারচর স্টেশনে সকাল ও দুপুরের আন্ত:নগর এগারসিন্দুরের জন্য শতাধিক টিকেট বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ টিকেট কালোবাজারিতে বিক্রি হওয়ার কারণে সাধারণ যাত্রীরা টিকেট না পেয়ে চলে যান। পরে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ কালোবাজারিদের কাছ থেকে ১০০ টাকা মূল্যের টিকেট ১৫০ টাকায় কিনতে বাধ্য হন।

সরারচর স্টেশন থেকে রেলওয়ে সুবিধা নিতে আসা যাত্রী কামরুল জানান, কালোবাজারি ছাড়া এ স্টেশন থেকে কোনোদিনও টিকেট পাইনি। এমনকি সিনভুক্ত টিকেট ছাড়াও স্ট্যান্ডিং টিকেটই এখান থেকে ৫০-১০০ টাকা বাড়িয়ে কিনতে হয়েছে। শুধু আমি নই, এমন ঘটনার ভুক্তভোগী সরারচর স্টেশনে আসা প্রতিটি যাত্রীরই।
এদিকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের টিকেট কালোবাজারি ছাড়া সাধারণ যাত্রীরা পায় না বললেই চলে। যাত্রীরা টিকেট কেনার কথা জানালে সরারচর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জানান, টিকেট নেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। এ দৃশ্য এখন আর নতুন কিছু নয়। এ অবস্থা থেকে রেলওয়ের যাত্রীরা মুক্তি পেতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।