২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হতে এখনো বাকী প্রায় চার মাস। কিন্তু এখন থেকেই বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। সেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংও। আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছেন তিনি, ‘আমার মনে হয়, ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। দুই দলেরই ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী। যদি ফাইনালে তারা খেলতে পারে তবে ম্যাচটি খুবই উপভোগ্য হবে।’
২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ। তাই এখন থেকে নিজেদের গোছাতে ব্যস্ত দলগুলো। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তারা। আর যারা মাঠের বাইরে রয়েছেন, তাদের প্রস্তুতিটাও ভালো বলা চলে।
আগামী বিশ্বকাপে কোন দল শক্তিশালী, কোন দলের সমস্যা কতটুকু, কোন দল কেমন করবে এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চালাচ্ছেন মাঠের বাইরের ব্যক্তিরা। সেইসব তালিকায় আছেন সাবেক খেলোয়াড়রা।
তেমনই একজনের নাম রিকি পন্টিং। তার নেতৃত্বে ২০০৩ ও ২০০৭ সালে দুইবার বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভালো ফল করতে পারেনি পান্টারের অস্ট্রেলিয়া। তবে আগামী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠবে অস্ট্রেলিয়া বলে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন পন্টিং। আর সেই ফাইনালে অসিদের প্রতিপক্ষ থাকবে ২০১১ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত ছাড়াও টুর্নামেন্টে আরো অনেক দলই ভালো ক্রিকেট খেলবে বলে মনে করেন পন্টিং। সেই তালিকায় নাম আছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার। শক্তির বিচারে প্রোটিয়াসদের চাইতে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড জানালেন পন্টিং, ‘নিউজিল্যান্ড হল ডার্ক-হর্স। দেশের মাটিতে সবসময় শক্তশালী দল নিউজিল্যান্ড। তাদের দলে সব বিভাগেই ভালো খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করার ক্ষমতা রাখে কিউইরা। তাই আগামী বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দল নিউজিল্যান্ড।’
আগামী বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস হতে পারে দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নেয়া ওয়ার্নারের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে মনে করেন পন্টিং, ‘মারকুটে ব্যাটসম্যানরা ৫০ ওভারের ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। আমি বিশ্বাস করি আগামী বিশ্বকাপে অসি দলের প্রধান অস্ত্র হবে ওয়ার্নার। গত ১২ মাস সে খুবই ভালো পারফর্ম করেছে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টুয়েন্টি-টুয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়ার সেরা পারফরমার ছিল ওয়ার্নার। যদি দুই প্রান্ত দিয়ে নতুন বলে বড় শুরু করে দিতে পারে ওয়ার্নার, তবে অস্ট্রেলিয়া জয় পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন পন্টিং। এসময় ১৬৮টি টেস্ট, ৩৭৫টি ওয়ানডে ও ১৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেন তিনি। টেস্টে ১৩৩৭৮, ওয়ানডেতে ১৩৭০৪ ও টি-২০-তে ৪০১ রান করেন ৩৯ বছর বয়সী পন্টিং।