কবির হোসেন, খালিয়াজুরী (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা ।।
আজ রোববার পালিত হলো মহান মে দিবস। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রম অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে গুলিতে কয়েকজন শ্রমিক নিহত হন। তাই প্রতি বছর ১ মে বিশ্বের সর্বত্রই শ্রব্ধা ও মর্যাদার সাথে তাদের স্মরণ করে।
বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পলিত হয়েছে। এবছর বাংলাদেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “মে দিবসের মর্মবাণী শ্রমিক-মালিক ঐক্য জানি”। কিন্তু মহান মে দিবসের মূল অর্জন বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে পোঁছায়নি। কৃষিশ্রমিক, দিনমজুর ও গৃহশ্রমিক যারা অ-প্রাতিষ্ঠানিক কাজে শ্রম দিচ্ছেন তারা সকল প্রকার শ্রম আইনের বাইরে। ফলে তাদের মিলছে না কোন অধিকারই। কৃষিকাজ, দিনমজুর, গৃহশ্রমিক তাদের ব্যাপারে আইনের কোন মানদণ্ড নেই। মালিকের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে তারা জিম্মি। রাত-বিরাত, সকাল-সন্ধ্যা নেই, মালিক যে সময় হুকুম করে সে সময়ই হুকুম তামিলে কাজে লেগে যেতে হয়।
কৃষি শ্রমিক মুন্তাজ মিয়া বলেন, মে দিবস আবার কি? কাম (কাজ) না করলে ভাত দিবে কেডা (কে)। আরোক দিনমজুর সুলতান মিয়া বলেন, আজকা (আজকে) বইয়া (বসে) থাকলে মালিক দুই মণ ধান কাইটা (কেটে) রাখব। কাম (কাজ) না করলে উপায় আছে? তাই এ সকল কৃষি শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণীকে সুরক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।