নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
রাজধানীর উত্তরায় রত্না আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মী নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ১ আগস্ট সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। রত্না কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ১১ নম্বর একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত রত্না। সোমবার সকাল ৭টায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রত্নার মাসি রহিমা বেগম জানান, রত্নার বাবা-মা গাজীপুর এলাকায় থাকেন। রত্না ৩ মাস আগে মিরপুরের শামছুদ্দোহার বাসায় কাজে যোগ দেয়। গৃহকর্তা শামছুদ্দোহা আনসার অফিসার। সোমবার সকাল ৭টার দিকে সে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন দেয় বলে বাসার লোকজন তাকে জানায়। চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই বাসায় মাসিক আড়াই হাজার টাকা বেতনে রত্না কাজ করত।
দগ্ধ রত্না জানায়, বাড়ির মালিক বকাঝকা করত। জিদ করে সে তার নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা: পার্থ শংকর পাল জানান, রত্নার শরীরের শ্বাসনালীসহ ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিভাবে গৃহকর্মী আগুনে পুড়েছে তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।