মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর সংবাদদাতা।।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে কুরবানি পশুর হাটগুলো। ঈদের মাত্র বাকী কয়েকদিন তাই শেষ মুহূর্তে কুরবানির জন্য নিজ নিজ পছন্দের পশু কিনতে মহাব্যস্ত সময় পার করছে বাজিতপুরবাসী।
এ বছর উপজেলার পৌরশহরসহ ১১ ইউনিয়নে ঈদ পূর্ববতী সময়ে বসেছে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৮টির মত কুরবানির পশুর হাট। এর মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহত সরারচর বাজার, পৌরশহরের বাজিতপুর বাজার বাঁশমহল, ভাগলপুর বাসস্ট্যান্ডের কুরবানির হাটগুলো অন্যতম।
এদিকে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বাজিতপুর উপজেলার বৃহত কুরবানির হাট বসেছে সরারচরে। ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার তত্কালীন সময়ে বৃহত্তম ময়মনসিংহের বড় বাজারগুলোর তালিকায় থাকা বাজিতপুরের সর্ববৃহত ঐতিহ্যবাহী সরারচর বাজারে এ কুরবানির পশুর হাট বসে।
হাট পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, পশু বিক্রয় করতে আসা বিক্রেতা ও পাইকারদের পাশাপাশি দেশি পশু দিয়ে কুরবানি দেয়ার চিন্তায় মগ্ন ক্রেতাদের ঢল। এর সাথে সাথে নির্বিঘ্নে কেনাবেচার জন্য বাজার বণিক সমিতি ও প্রশাসনের র্নিবিক নজরদারি।
বৃহত্তম এ হাটের কয়েকজন ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, বাজারে কুরবানির পশু ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। আমরা সুষ্ঠুভাবেই পশু ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারছি। কিন্তু পশু ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ নিয়ে ভিন্ন মতবাদ তৈরি হচ্ছে।
হাটের একজন ইজারাদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও পশুর দাম স্বাভাবিক আছে। বাজারে ভাল মানের দেশী পশু পেয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট আছেন।