বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কোরবানীর মাংসে পাওয়া গেলো “আল্লাহু” লেখা। লেখাটি পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সদরের মাইজহাটি গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়িতে। মাংসের টুকরাটি দেখতে প্রতি দিনই শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করছে মাইজহাটি গ্রামে। এ কান সে কান হয়ে ঘটনাটি পরিণত হয়েছে “টক অব দ্য উপজেলায়”।
শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেলিম মিয়ার বাড়িতে শত শত মানুষ ভিড় করে আছে। কয়েকজন জানালেন “আল্লাহু” লেখা মাংসের টুকরাটি এক নজর দেখতেই তাদের এ ভিড়।
কাছে গিয়ে দেখা যায়, আপাদমস্তক পর্দানশীল এক মহিলা একটি কাঁচের বাটিতে রান্না করা একটি গো মাংসের টুকরা হাতে নিয়ে বসা। মাংসের টুকরাটিতে আরবি হরফে “আল্লাহু” সদৃশ লেখা।
কথা হয় সেলিম মিয়ার সাথে। তিনি জানান, ঈদুল আযহায় তাদের গ্রামে তিনটি গরু কোরবানি দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়র বণ্টনে তিনটি থেকেই তাদের ঘরে মাংস আসে। তার স্ত্রী ঝুমা এক সাথেই সব মাংস রান্না করেন। শুক্রবার দুপুরে মেয়ে আলমা (৬)কে মাংসের তরকারি দিয়ে খেতে দেন ঝুমা বেগম। আলমা একটি মাংসের টুকরা মুখে দেয়ার মুহূর্তে মা ঝুমা বেগম টুকরাটির গায়ে আররি হরফের মতো দেখতে পেয়ে টুকরাটি তার হাতে নেন। আরবি পড়তে জানা ঝুমা বেগম মাংসের টুকরাটি হাতে নিয়ে এটির গায়ে “আল্লাহু” সদৃশ লেখা দেখে সেটি উঠিয়ে রাখেন এবং প্রতিবেশীদের দেখান।
এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমএ জলিলের (দীর্ঘ দিন যাবৎ ডেপুটেশনে ঢাকা চিড়িয়াখানায় কর্মরত) মুঠো ফোনে জানতে একাধিক ফোন কলেও তাকে পাওয়া যায়নি। একই অফিসের ডিএফও মো. আজিবুল্লাহ মুঠো ফোনে জানান, প্রথমই শুনলাম। কি কারণে এমনটি হতে পারে আমার জানা নাই। তবে সৃষ্টিকর্তার অপার লীলার শেষ নাই।