আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
দেশের হাওর অঞ্চলের অকাল বন্যাদুর্গত জনগণের জন্য সরকার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি সেখানে পুরোদমে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ ৯ মে মঙ্গলবার বলেন, ‘হাওর এলাকার বন্যাদুর্গত জনগণের মধ্যে জুলাই মাস পর্যন্ত ২৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা মূল্যমানের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি, ইতোমধ্যেই মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলাওয়ারি ৮০ শতাংশ বরাদ্দ বিতরণ করা হয়েছে।’ বাসস
তিনি বলেন, ৯১ হাজার ৪৪৭ জন অতি দরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃজন কর্মসূচির জন্য সরকার ইতোমধ্যেই নির্দিষ্ট করেছে।
হাওর অঞ্চলের ৬টি জেলা- হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ-এর মোট ৬২টি উপজেলার ৮ থেকে ৯ লাখ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ৫৮৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকে উপদ্রুত এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় হাওর অঞ্চলের ৬টি জেলায় সরকার ৩ লাখ ৮০ হাজার বন্যাদুর্গত পরিবার ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে ৩২ হাজার ৩৪০ টন চাল এবং ৪৯ কোটি ৫০ লাখ নগদ টাকা বিতরণ করবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তী ফসল ওঠা পর্যন্ত ভিজিএফ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, দিন-রাত কেন্দ্র ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে দুইটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, উপদ্রুত এলাকার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কার্যালয় এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। হাওর অঞ্চলের বন্যাদুর্গত জনগণের অবস্থার দ্রুত উন্নতির লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিসহ একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন এনজিওর বিতরণকৃত ঋণের সুদ মওকুফ এবং ১ বছরের জন্য মূলধন ফেরত স্থগিত রাখা, কৃষিঋণের কিস্তি প্রদান স্থগিত রাখা, বিদ্যুৎ বিল প্রদান থেকে অব্যাহতি দেয়া, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শতভাগ বৃত্তি প্রদান ও এক বছরের জন্য বেতন মওকুফ, মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যাপ্রবণ হাওর এলাকার জন্য স্বল্পমেয়াদি জাতের ধান উদ্ভাবন।