বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।
কিশোরগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে শাহীন মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশু কন্যার পিতৃত্ব, ভরনপোষণসহ উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তির অংশ দেয়ার জন্য আসামিকে নির্দেশ দিয়েছে। আসামি ওই দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আদালত প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এছাড়াও আদালত ধর্ষককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আওলাদ হোসেন ভুইয়া বুধবার ৪ অক্টোবর দুপুরে এই রায় দেন। রায় প্রদানকালে ধর্ষক শাহিন মিয়া পলাতক থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিতৃহারা ধর্ষিতা কিশোরী তার আট বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে জেলার বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের তাতালচর গ্রামে বসবাস করত। তাদের মা ঢাকায় কর্মজীবী ছিলেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী আসামি শাহিন মিয়া তার সাথে নিয়মিত অশালীন আচরণসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এ পর্যায়ে গত ২০১২ সালের ২৫ মার্চ রাতে তার বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর ছোট ভাই অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। ধর্ষণের ফলে উক্ত কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং পরে ২০১৩ সালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে শিশুটির পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে কিশোরী বিচার প্রার্থী হলে আসামি কর্তৃক শারীরিক অত্যাচারের সম্মুখীন হয়।
এ ঘটনায় উক্ত কিশোরী বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ১৬ জুন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই আসামি পালিয়ে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ আফজল মামলাটি পরিচালনা করেন।