আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিনিয়র সিটিজেন হওয়ার বয়স ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬৫ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সোমবার ৪ ডিসেম্বর সোনারগাঁও হোটেলে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বলেন, ‘৬০ বছর নয়, কাউকে সিনিয়র সিটিজেন হওয়ার জন্য বয়স কমপক্ষে ৬৫ বছর হওয়া দরকার।’ বাসস
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ ও সমাজকল্যাণ সচিব মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ‘অবসর, মাই ড্রিম ল্যান্ড’ নামে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (সাবেক আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) মধ্যে এই চু্ক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরূল কবির এবং ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে এর চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই যেন সিনিয়র সিটিজেনদের ন্যূনতম বয়স সীমায় একটি পরিবর্তন আসে, তিনি তা দেখতে চান।
তিনি বয়স্কদের কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য ওল্ড হোমে গিয়ে তাদের সময় দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেকেরই ওল্ড হোমে যাওয়া উচিত, সিনিয়র নাগরিকদের আনন্দ দেয়ার জন্য, এটা আমাদেরও আনন্দ দেবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, জীবনে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য তরুণদের উচিত হবে ওল্ড হোমে গিয়ে বয়স্কদের সময় দেয়া।