যেসব কারণে আপনার খেজুর খাওয়া উচিত

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

খেজুর সকলেই চিনি এবং পছন্দও করি। তবে এতে যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কত উপাদান রয়েছে, তা হয়ত আপনাদের জানা নেই। খেজুরের এতসব গুণের কারণে জার্মানদেরও এই মিষ্টি ও রসালো ফল খাওয়ায় আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে।

খেজুরের গুণাগুণ
রোজার সময় খেজুর ছাড়া ইফতার করার কথা যেন ভাবাই যায় না। খেজুর খেতে মিষ্টি এবং এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এ কথা ঠিক। তবে এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ, যেমন ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ড এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী। আরো রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড। তাছাড়াও ট্রিপটোফেন-মেলাটনিন হরমোন যা, ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।

খেজুরের দেশ
পারস্য উপসাগর খেজুরের আদিবাস, তবে উত্তর আফ্রিকা, পাকিস্তান, মিশর, ইরান এবং সৌদি আরবেই প্রচুর খেজুর জন্মায়। তবে জার্মানিতে গুণমান সম্পন্ন বেশিরভাগ খেজুর আমদানী করা হয় টিউনেশিয়া থেকে।

খেজুর মুহূর্তেই শরীরে শক্তি দেয়
শুকনো খেজুরের ওজনের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং সে কারণেই সরাসরি রক্তে চলে যায়। আর সে কারণেই শুকনো খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে।

ব্লাড প্রেশার কমাতে সহায়তা করে
বিশেষজ্ঞের মতে, খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

খেজুর মনকে আনন্দিত করে
খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এই মিষ্টি ফল মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, খুশি রাখে।

স্ট্রেস দূর করে
স্ট্রেস ও নার্ভাসনেসের কারণে মাথা ব্যথা হলে তা সহজেই দূর করতে পারে খেজুর। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়ক।

হাড় শক্ত করতে খেজুর
ভিটামিন ‘কে’-তে ভরপুর খেজুর। হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘কে’।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর
মানসিক চাপ, রাগ বা অন্য অনেক কারণেই হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। আবার এর সঙ্গে পেট ব্যথাও হয়ে থাকে অনেক সময়। এরকম পরস্থিতিতে শুকনো খেজুর খেলে খুব সহজে পেট পরিষ্কার হতে পারে। তবে সাথে প্রচুর পানি পান করতে হবে। একমাত্র তবেই সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব।

খেজুর যেভাবে রাখবেন
তাজা খেজুর সরাসরি ফ্রিজে রাখা ভালো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তা খেয়ে ফেলা উচিত। তবে শুকনো খেজুর বা খোরমা কিছুদিন রেখে খাওয়া যায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন পোকা বা ফাঙ্গাস না হয়। এরকমটা হলে খেজুর সাথে সাথেই ফেলে দেওয়া উচিত।

সাবধান!
যাঁদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে ‘টিরামিন’ বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথা ব্যথা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া আর যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। এক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সূত্র : খেজুর কেন খাবেন?  [ডয়চে ভেলে, ৯ এপ্রিল ২০১৮]

Similar Posts

error: Content is protected !!