আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ফাঁকা গুলির শব্দ শুনে শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫৮) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর ২০১৮) সন্ধ্যার পর বাজিতপুর উপজেলার সরারচর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবর্ষণের সময় শহীদ মিয়া সরারচর পুরানবাজারে নিজের দোকানে বসা ছিলেন। তখন গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান। দ্রুত তাকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁর বাড়ির চারপাশে দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং সেখানে থাকা বিএনপি কর্মীদের পিটুনি দেয়। তার বাড়ি ঘিরে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ব্যাপক গুলিবর্ষণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা ইটখলা মালিক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫৮) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার সরারচরে কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থল ও আশপাশে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি।
সূত্র : মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮