আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৯ মার্চ ২০১৯) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার নাজিরদীঘি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মইন উদ্দিন (১৮) ও তাঁর বাবা কাজল মিয়া (৫৮)।
পরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই শিশুকে মইন উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা অপহরণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় নিয়ে যান। ঘটনার পর শিশুটির বাবা-মা মইন উদ্দিনের বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তাকে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা।
পরে গত ২৭ মার্চ শিশুটির বাবা বাজিতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কুলিয়ারচরের উসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. আনিসের সহযোগিতায় শিশুটিকে ফেরত দেয় অভিযুক্তরা।
বাড়ি ফিরে এসে অপহৃত হওয়া শিশুটি জানায়, মইন উদ্দিন তাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে শিশুটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করান।
এরপর মইন উদ্দিনের লোকজন শিশুটির পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
হুমকির বিষয়টি জানতে পেরে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে কুলিয়ারচরের নাজিরদীঘি এলাকার সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে মইন উদ্দিন ও তাঁর বাবা কাজল মিয়াকে আটক করে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পের সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : এনটিভি অনলাইন