বিদেশি ভূতকে আমি মোটেও ভয় পাই না। এ জীবনে অনেক বিদেশি ভূতের সাথে আমার দেখা হয়েছে! সবচে ভয়ঙ্কর বিদেশি ভূত ‘কাউন্ট ড্রাকুলা’র সাথেও আমারে দেখা হয়েছে! কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে বলছি কাহিনীটা— ব্রাম স্টোকারের এই ড্রাকুলাটির ঠাণ্ডা হাত পেছন থেকে একদিন আমার কাঁধ স্পর্শ করেছিলো! বন্ধু মোশাহিদ এটা আঁচ করতে পেরেই দরদর করে ঘামছিল। এর পর দাঁত মুখ খিচিয়ে অজ্ঞান! অজ্ঞান হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, এটি ছিলো ভয়্ংকর ড্রাকুলা। এই ড্রাকুলাটি থাকতো ত্রানসালভানিয়া দুর্গে; একটি কফিনের ভেতর। রাত নেমে এলেই এটি কফিন থেকে বেরিয়ে আসতো। তারপর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হানা দিতো। রক্ত চোষে খেতো মানুষের। আর সেই ড্রাকুলার ঠাণ্ডা হাত কি না আমার কাঁধে! তা ড্রাকুলাটি আমার কাঁধে যখন হাত রাখলো, আমি পেছন ফিরেই ওর হাতটা খপ করে ধরলাম। তারপর কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি, শেষমেশ কোলাকুলি! মোশাহিদের অবশ্য পরে জ্ঞান ফিরেছিল! আর সেই ভয় থেকেই সে ‘ব্ল্যাক লাইট’ নামে একটা বই লিখেছিলো।
দেশি ভূতকে আমি কিছুটা ভয় পাই। একদিন শেওড়া গাছের শাকচুন্নিকে দেখে গায়ে আমার কাঁটা দিয়ে উঠেছিলো। মামদু ভূত একদিন আমাকে ল্যাং মেরেছিলো। তবে কোনোদিন ওদের দেখে ভয়ে অজ্ঞান হইনি। এই প্রথম এক দেশি ভূতের খপ্পরে পরে আমি অজ্ঞান হলাম। সেটা ‘জাহাজ কারখানার ভূত’। এই ভূতটার সাথে আমার প্রথম দেখা হয় পাণ্ডুলিপিতে। ওইখান থেকেই সে আমার প্রতি গরম নি:শ্বাস ছেড়েছিলো। অমনি আমি ধপাস! এই ভূতটাকে এখন পিঠমোড়া করে বেঁধে (ব্যাক পেপারে ও বোর্ড বাঁধাই করে) কালো প্রকাশন বাজারে ছেড়েছে। এতে জাহাজ কারখানার এই ভূতটা নাকি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে! প্রতিদিনই রাত-বিরাতে এটি এখন হানা দিচ্ছে কিশোর ও বড় মানুষদের বাড়িতে। তারপর রাতভর তিয়াশ মিটিয়ে রক্ত পান করে বাড়ির সামনে ফেলে রাখছে একেকটা শরীর। তো সাবধান! সবাই সাবধান!
জাহাজ কারখানার ভূত
লেখক: ওমর বিশ্বাস
প্রচ্ছদ: তানভীর এনায়েত
প্রকাশনায়: কালো প্রকাশন
মূল্য: পেপার ব্যাক-১০০, বোর্ড বাঁধাই-১২০
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : যারা এই ভূতের সাথে দেখা করে আমার মতো অজ্ঞান হতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানায়- কালো প্রকাশন, ২২ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কাঁঠালবাগান,ঢাকা-১২০৫। ফোন:- ০১৯২৮১৮০৬৪৮, ০১১৯২০৪৯৯৪২।
ভিজিট করুন:- https://www.facebook.com/Kaalo-কালো
-আহমদ আমিন