বাজিতপুর সংবাদদাতা।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর প্রতারণার শিকার হয়েছে এক গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূরাণগাঁও গ্রামে।
গ্রামবাসী জানায়, দুই মাস আগে গ্রামের একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। পরে কয়েকজন মিলে বাজিতপুর বিপিডিবি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে গেলে তিনি আমাদের একটি ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমার দেন।
গ্রামের সকল গ্রাহক আলোচনা করে প্রকৌশলীর সাথে চুক্তি করি দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার মাঝে। চুক্তি হয় আমাদেরকে দুইটি ট্রান্সফরমার দিবে ২৫০কেবি ও ১০০ কেবির সাথে ট্রান্সফরমারসহ পুরানগাঁও লেচু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত এসটি লাইনে সংযোগ করে দিবে। আমরা এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা কাজ শেষে দিব বলে ঠিক করি।
এর আগে ভ্রাম্যমান ট্রান্সফরমার ফেরত নিতে পারবে না শর্ত ছিল। কিন্তু যখন প্রজেক্টের লোক চলে গেল তখনি তিনি আমাদের সাথে প্রতারণা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ করে ২১ সেপ্টেম্বর রাতের অন্ধকারে দুই শতাধিক গ্রাহক ও কয়েকটি লেয়ার, ব্রয়লার মুরগির ফার্মকে অন্ধকারে ফেলতে বিকল একটি ১০০ কেবি ট্রান্সফরমার নিয়ে আসে কর্মীরা। তখন গ্রামবাসী তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকলে পুলিশের এসআই হেলিমসহ ৫/৬ পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকৌশলীর অনুমতিক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চলে যান কর্মীরা।
পরে মারামারি বা ভাংচুরের কোন ঘটনা না ঘটলেও আবাসিক প্রকৌশলী মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কয়েকজনকে মেডিকেলে ভর্তি করে, মিথ্যা সাক্ষীর ভিত্তিতে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু নাছের সবুজ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমানসহ অনেক নিরীহ গ্রামবাসীর নামে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৌশলীর বিচার দাবি করেন গ্রামবাসী।