বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নদী জুড়ে শুধু বই। ভাসমান এসব বই কুঁড়াতে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা সদরের সোয়াইজনী নদীতে চলছে শিশু-কিশোরদের ঝাঁপাঝাঁপি। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় কয়েকশ শ্রেণিওয়ারি বইয়ের বান্ডেল নদী থেকে উত্তোলন করেছে নদীপাড়ের শিশু-কিশোররা। এসব বই ২০১৭ সালের জন্য দাখিল শ্রেণির পাঠ্য বলে গায়ে লেখা রয়েছে।
শনিবার ২৯ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের সোয়াইজনী নদীর কারারবাড়ির ফুটওভার ব্রিজের নিচের পানিতে ভাসছে বান্ডেল করা বই। এলাকার শিশু-কিশোররা সেই বই সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়ছে নদীতে।
কাশেম নামের এক শিশুকে জিজ্ঞেস করতে সে জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে তারা এই বই সংগ্রহ করছে। ব্রিজের নিকটবর্তী বাড়ির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার বই ভর্তি ৪টি ট্রলারযোগে জনৈক ব্যক্তি ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম ও খালিয়াজুরি যায়। কখন কিভাবে এত বই নদীতে পড়েছে জানা নেই।
বই কুঁড়ানো আরেক শিশু সাদ্দাম হোসেন জানায়, সে দুই দিনে ১৫ কেজির মতো বই পেয়েছে। কুঁড়িয়ে পাওয়া বই তারা স্থানীয় বাজারের মুদির দোকানে বিক্রি করেছে। ভেজা হওয়ায় দাম পায়নি ভালো। তাই কিছু বই বাড়িতে শুকাতে দিয়েছে।
নিকলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুজ্জামান হাবীবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে তার গোডাউনে নিকলী উপজেলার জন্যে বরাদ্দকৃত বইয়ের মজুদ ঠিকই রয়েছে। বইগুলি অন্য উপজেলার হতে পারে বলে তিনি ধারণা প্রকাশ করেন।