নিকলীতে নষ্ট হাত থেকে রক্ষা করতে অসময়ে ভূট্টা উত্তোলন

কারার ইমরান মাহাদী নিয়ন ।।

ভালো ফলনের আশায় বুক বাঁধছিলেন নিকলীর ভূট্টাচাষীরা। কিন্তু অসময়ের ঝড়, বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা আবহাওয়ার ফলে চাষীদের কপালে ভাঁজ দেখা যাচ্ছে।

মো. ইসমাইল। নিকলী সদর ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড়ের একজন ভূট্টাচাষী। তিনি জানালেন, এ বছর ২ কানি (একর) জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে সব মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা। বরুলিয়া হাওরের জমি নিয়ে বেশ আশায় ছিলেন।

ভূট্টাচাষী মো. ইসমাইল। বাঁ পাশের মোচাটি আধা পাকা।

মোচা বড় হয়ে পেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করছিলো। এরই মধ্যে হঠাৎ এ মাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়-বৃষ্টিতে গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়ে। সেই সাথে শুরু হয় ঠাণ্ডা আবহাওয়া। এতে করে পড়ে যাওয়া ভূট্টাগুলো পুরোপুরি পাকতে পারেনি। নষ্ট বা পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ভালোভাবে পাকার আগেই তুলে আনতে হয়েছে। এজন্য খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না।

অর্ধেক জমির ভূট্টা তোলা হয়েছে। বাকিগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই তোলা হবে বলে জানালেন ইসমাইল মিয়া। তিনি আরো জানান, সব তোলা শেষ হলে যদি কিছু লাভ করা যায় তাহলে আগামী বছরও ভূট্টা চাষ করবেন।

Similar Posts

error: Content is protected !!