আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
নিকলী উপজেলার গুরইয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার একমাত্র আসামি দুবাইপ্রবাসী শওকত আলী।
আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি উপজেলার গুরই পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইছব আলীর ছেলে শওকত আলী কিশোরগঞ্জে আদালতের সিনিয়র বিচারিক হাকিম মো. আবদুন নূরের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিকলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল আলম জানান, শওকত আলী (৩০) তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি তার স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৪) পরকীয়া করছেন মর্মে সন্দেহ করতেন। এমন সন্দেহ থেকেই ছুরি দিয়ে গলা কেটে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। আর আয়শাকে এ কাজে সহায়তা করার জন্য তার সম্বন্ধীর (আয়েশার বড়ভাই) স্ত্রী সালমা আক্তারকেও (৩০) একই ভাবে হত্যা করেন শওকত। জবানবন্দি শেষে শওকতকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়শা আক্তার ও সালমা আক্তারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা আয়শার স্বামী শওকতকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
