বাঙ্গালপাড়ার জুনায়েদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

তোফাজ্জল হোসেন তপু, বিশেষ প্রতিনিধি ।।

জুনায়েদ! কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের উসমানপুর গ্রামের ইরু মিয়ার ছেলে। বয়স ৮ কি ১০ হবে। কিছুদিন আগেও বাবা-মায়ের কাছে এটা-ওটা চেয়ে বায়না ধরেছে। সহপাঠীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্কুলে গিয়েছে। বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে খেলাধুলায় মেতেছে। অথচ আজ……!! নিষ্পাপ, মায়াবী চেহারার ছেলেটিকে ভুগতে হচ্ছে ক্যান্সারের (Non Hodgkin’s lymphoma) মতো এত ভয়ংকর একটা রোগে। যে রোগটা দিনদিন একটা সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাহলে কি জুনায়েদের জীবনের চাকাটা এখানেই থেমে যাবে?

আর কোনদিন স্কুলে যেতে পারবে না জুনায়েদ? বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করবে না? একবার ভাবুন তো আপনার নিষ্পাপ সন্তান অথবা ছোট ভাইটি বা কোনো নিকটাত্মীয়ের কথা!!

জুনায়েদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বিল্ডিংয়ের ২১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২৭ নম্বর বেডের বিছানায় চিকিৎসাধীন। ডাক্তার বলেছেন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় জুনায়েদকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। আর তার জন্য প্রয়োজন কিছু টাকা! দরিদ্র বাবা নিজের সহায় সম্বল দিয়ে চেষ্টা করেছেন অতি আদরের সন্তানকে বাঁচিয়ে তুলতে। কিন্তু তিনি আর পারছেন না।

হয়তো আপনার আমার একটু সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে যাবে আরো একটি নিষ্পাপ প্রাণ। হোক সেটা পঞ্চাশ, একশ বা হাজার টাকা! অনেকগুলো পঞ্চাশ একশ একত্রে লাখ টাকাও হয়।

জুনায়েদকে হাসপাতালে দেখে তার জন্য কিছু করার অভিপ্রায় নিয়ে গত শনিবার কয়েকজন মিলিত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়। এতে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১০ এর উপসহকারি পরিচালক তুষার সরকার, রোটারিয়ান কামরুল হাসান বাবু, ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন, লিংকন, শফিকুল, সাংবাদিক গোলাম রসূল ও নূরনাহার মীম (পিংকি), ছাত্র মোহাম্মদ রুবেল, তোফাজ্জল হোসাইন, সত্যজিৎ দেবনাথ, আনোয়ার হোসেন ও এমআই অনিক।

জুনায়েদের চিকিৎসার জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়। আমার, আপনার সামান্য সহযোগিতায় জুনায়েদ এ পৃথিবীর বুকে বেচেঁ থাকতে পারবে। ওর পরিবার পাবে সুন্দর আগামী। আর আমরা পাব বিশুদ্ধ প্রশান্তি। তাই আসুন, জুনায়েদের পাশে দাঁড়াই, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর : 01911104010 (পার্সোনাল)।

Similar Posts

error: Content is protected !!