যেখানে গেলে প্রান নিয়ে ফিরে আসা যায় না!

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত ব্যাপারগুলোর একটি হলো বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। অনেকে এটাকে শয়তানের ট্রায়াঙ্গেলও বলে থাকেন। ত্রিভূজটি বারমুডা থেকে মিয়ামি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুয়ের্তো রিকোর স্যান জুয়ান পর্যন্ত বিস্তৃতি। এবং এসব এলাকায় বিশ্বাস করা হয় ত্রিভূজটিতে রয়েছে এক অতিপ্রাকৃত গোপন কিছু। আপনি এই এলাকার মানচিত্রে এমন কোনো ত্রিভূজ দেখতে পারবেন। আর পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো ত্রিভূজ অঙ্কিতও নেই। কিন্তু এই ত্রিভূজের নামটি অনেক মানুষের ভয়ের কারণ।

অসংখ্য যাত্রীসহ অসংখ্য জাহাজ কিংবা প্লেন হারিয়ে গেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের অভ্যন্তরে। যাদের বেশিরভাগেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর হারিয়ে যাওয়া এইসব জাহাজ কিংবা প্লেনের হারিয়ে যাওয়ার কোনো কারণই এ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে সব। এখানে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে কিছু বিষ্ময়কর বিষয় উল্লেখ করা হলো।

এটা আদতে ত্রিভূজ নয়
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আদতে কোনো ত্রিভূজই নয়। এর না আছে কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত সীমানা, না বিশেষ কোনো আকৃতি। আর এ অঞ্চলের প্রধান রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনি তো এই ত্রিভূজের অস্তিত্ব স্বীকারই করে না।

এখানে দিকভ্রষ্ট কম্পাস
আমরা জানি, দিক নির্ণয়কারী কম্পাসের উত্তর মেরু চৌম্বকীয় উত্তর মেরুকে নির্দেশ করে থাকে। আর আমরা সেইভাবেই আমাদের দিক নির্ণয় করে থাকি। কিন্তু বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পৃথিবীর এমন স্থান, যেখানে কম্পাস মূল উত্তর মেরুকে নির্দেশ করে, চৌম্বকীয় উত্তরমেরুকে নয়। ফলে, এখানে এসে সকল বিমান কিংবা জাহাজের কম্পাস কোনো কাজ করে না।

অতলান্তিকের হারানো নগরী
পলিন ও পল নামের দুই গবেষক নিশ্চিত করেছেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকায় মহাসাগরের নিচে রয়েছে এক বিশাল নগরী। এই প্রাচীন বিশাল নগরীতে ছিল চারটি দৈত্যাকৃতি পিরামিড নানা স্থাপনা। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন যে, এই নগরীই হলো অতলান্তিকের (আটলান্টিক) হারিয়ে যাওয়া নগরী।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল দুর্ঘটনা
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল তার দুর্ঘটনাগুলোর জন্যই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। কিন্তু দেখা যায়, এসব দুর্ঘটনা নিয়ে লেখা গবেষণা পত্র কিংবা প্রতিবেদনে অস্বাভাবিক বর্ণনা করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার দুর্ঘটনার কারণের সাথে এখানকার দুর্ঘটনার কারণের পার্থক্য খুবই সামান্য।

মার্কিন নেভীর হারিয়ে যাওয়া বিমানবহর
১৯৪৫ সালের পর মার্কিন নৌবাহিনি এক বিশাল ক্ষতির সম্মুখিন হয়। নৌবাহিনির পাঁচটি টর্পেডো বম্বার বিমান ফ্লোরিডার ন্যাভাল এয়ার স্টেশন থেকে উড্ডয়ন করে বিমিনি দ্বীপের দিকে। উড্ডয়নের ৯০ মিনিট পর স্টেশনের রেডিও অপারেটর একটি সিগন্যাল পায়, যেখানে বলা হয়েছিল, বিমানগুলির কম্পাস ঠিকমতো কাজ করছে না। এরপর আর বৈমানিক সহ বিমানগুলির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সূত্র: ইন্টারনেট

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!