জি আর শিপন, মহাস্থান বগুড়া সংবাদদাতা ।।
বগুড়ায় ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৪ জুন। এর আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বগুড়ার লাহিড়ীপাড়া, শেখের কোলা ও নামুজা ইউনিয়ন। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা। ৩টি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের দাপটে নির্বাচনী মাঠে বের হতে পারছেন না স্বতন্ত্র ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। হামলা ও ভাংচুর করা হচ্ছে তাদের বসতবাড়ি ও নির্বাচনী অফিস। ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে তাদের পোস্টার ও প্যানা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহারুল হান্নান রিপুর কর্মী ও সমর্থক বাহিনীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আব্দুর রশিদের বাড়িঘর ভাংচুর ও কর্মী-সমর্থকদের মারপিট করেছে। এ ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া সদর থানার এসআই ফয়সাল। তিনি পরিদর্শন শেষে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এর আগেও গত মঙ্গলবার দুপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) মাওলানা আব্দুর রশিদের নির্বাচনী প্রচারণা মাইক ভাংচুর করা হয় ও প্রচারকারীদের মারপিট করে আহত করা হয়।
এদিকে বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রভাষক কামরুল হাসান ডালিম তার সশস্ত্র ক্যাডারবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে পুরো ইউনিয়ন তার দখলে নিয়েছে। ছিঁড়ে ফেলেছে তাদের পোস্টার ও প্যানা। শুধু এই নয় বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। একই অভিযোগ বগুড়ার নামুজা ইউনিয়নে, এখানে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকলেছার রহমান মোকলেছ-এর কর্মী-সমর্থক ও ক্যাডার বাহিনীদের অস্ত্রসজ্জিত তাণ্ডবে গণসংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম রাসেল মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল মাহমুদ আরিফকে।
বিএনপি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার বাহিনী আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মাঠে বের হতেই দিচ্ছে না। প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলছে পোস্টার ও প্যানা। বর্তমানে উল্লেখ্য ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসব ইউনিয়নে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হবে বলে তারা আশা করতে পারছেন না। ৪ জুন নির্বাচনের আগেই তড়িৎ যদি নির্বাচন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে নির্বাচন সহিংসতা চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।