আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির পথ সুগম করতে চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
পর্যায়ক্রমে চোখের লেন্সসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল ডিভাইস সংযোজনের ক্ষেত্রেও সরকার মূল্য নির্ধারণ করবে বলে তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ মানুষ দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত। জনগণের সরকার হিসেবে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আধুনিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। জনগণের স্বার্থেই সবাইকে এই উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। বাসস
রোববার ৭ মে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
দেশের ব্যয়বহুল বড় হাসপাতালগুলোতে গরীব রোগীর ডায়াগনস্টিক ও চিকিৎসা ব্যয় সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দরিদ্রদের জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ করলে তারা আধুনিক চিকিৎসার আওতায় চলে আসবে। একটি বেসরকারি হাসপাতাল যদি ১১শ’ টাকায় ডায়ালাইসিস সেবা দিতে পারে তবে অন্যদেরও তা পারা উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময় দেশের স্বাস্থ্যসেবায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে তাও বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অকপটে স্বীকার করেন। আমাদের দেশ থেকে এখন বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক কমে এসেছে, বরং বিদেশ থেকেও ইদানীং বাংলাদেশে অনেক রোগী আসছেন চিকিৎসা নিতে। যার ফলে এদেশের মানুষ মানসম্মত চিকিৎসার প্রকৃত সত্য জানেন না। এক্ষেত্রে চিকিৎসক সমাজকে আরো আন্তরিক, মানবিক ও নিষ্ঠাবান হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ নাসিম আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডাক্তারদেরকে কর্মস্থলে থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করতে বিএমএ ও স্বাচিপকে দায়িত্ব নিতে হবে।
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলোকে বিভাগ অনুযায়ী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিভাগের মেডিক্যাল কলেজগুলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হবে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের কলেজগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় চলে আসবে। এর ফলে কলেজ পরিচালনার কাজ আরো স্বচ্ছ ও সহজতর হবে।
সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ, ভারতের বিখ্যাত অঙ্গ সংযোজন বিশেষজ্ঞ ডা. সুনীল শ্রফ বক্তৃতা করেন।