বিশেষ সংবাদদাতা ।।
সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে নিকলী সচেতন নাগরিক সমাজ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অপসারণ করে পিডিবি পুনর্বহাল ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। আন্দোলনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তখন জেলা প্রশাসক বরাবর তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন কারার মোশাররফ হোসেন, কারার ইফতিখারুল আহমেদ শরীফ, মো: মনজিল হোসেন, কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ প্রমুখ। তারা বলেন, সারা দেশে যখন গড়ে দৈনিক ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয় তখন আমরা দিনে ২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাই না। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না দেয়া হলে নিকলী থেকে বিদ্যুৎ অপসারণ করা হোক।
তারা আরো বলেন, বিদ্যুতের এই হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনমুখী জনতা ঘরে ফিরবে না। হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের এই অমানবিক অবস্থার উন্নতি না হলে আমাদের আন্দোলন আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিকলীর চলমান বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সকলেই ভুক্তভোগী। তবে অচিরেই এই অবস্থার নিরসন হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে সকলকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নিকলী সচেতন নাগরিক সমাজের ৮ দফা সংবলিত স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন :
০১। অবিলম্বে পল্লী বিদ্যুৎ অপসারণ করে পিডিবি পুনর্বহাল করতে হবে।
০২। দৈনিক নূন্যতম ২২ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
০৩। দৈনিক টানা ২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং থাকলে আগেই গ্রাহকদের অবহিত করতে হবে।
০৪। অনতিবিলম্বে নিকলীতে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন চালু করতে হবে।
০৫। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রয়োজনে রাতের বেলায় ০১ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং চলবে না।
০৬। ভৌতিক বিল প্রত্যাহার করে মিটারে প্রদর্শিত রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল নিশ্চিত করতে হবে।
০৭। প্রদত্ত ভুলকৃত বিল সংশোধনের ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করে নিকলী অফিসেই উক্ত বিল সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
০৮। অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত ফি অনুসারে নতুন সংযোগ প্রদান করতে হবে।