নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এটিএম কামাল বলেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের দুঃশাসনে জাতি আজ দিশেহারা। গণতন্ত্র হত্যা করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য স্বৈরাচার এরশাদ নব্বই’র গণঅভ্যুত্থানে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা করেছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এখন যারা অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে শহীদ রবিউল, নূর হোসেন ও মিলনের রক্তের সাথে বেঈমানী করে পতিত স্বৈরাচার এরশাদের ঘৃণীত ইতিহাস ভুলে গিয়ে তাকে বিশেষ দূত বানিয়েছেন, সে কারণে তাদেরকেও একদিন এদেশে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর ১৮) সোমবার স্বৈরাচার পতন দিবসে বিকাল ৩টায় মাসদাইর কবরস্থানে সমাহিত নব্বই’র গনঅভ্যুত্থানে শহীদ রবিউলের কবরে রবিউল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের এটিএম কামাল এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রবিউল স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা শহীদ রবিউলের পিতা আনোয়ার হোসেন, মাতা মরিয়ম বেগম, শ্রমিক নেতা আলী আজগর, মনির মল্লিক, শহীদ রবিউল স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, শহীদ রবিউলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম, কালা মিয়া, মোঃ সোবহান, মোঃ আলম, মোঃ সোহাগ মিয়া প্রমুখ। কবরে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে হাফেজ শিব্বির আহমেদ এর পরিচালনায় ফাতেহা পাঠ ও মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ৯০-র ২৭ নভেম্বর এরশাদ সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতা, ছাত্র ও শ্রমিকরা প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্যে ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ শহরের ২ নং রেল গেটের কাছে মিছিলে গুলি করে। গুলিতে মিছিলের অগ্রভাগের দর্জি শ্রমিক রবিউল গুরুতর আহত হন। পুলিশ আহত অবস্থায় রবিউলকে থানায় নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে পেটালে সেখানেই তিনি মারা যান। পুলিশ রবিউলের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া ওই রাতেই মাসদাইর গোরস্থানে কবর দেয়। রবিউলের দরিদ্র পিতা আনোয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল বনিক ও দারোগা হানিফ-এর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও বিভিন্ন চাপের মুখে করতে পারেনি।