আজিজুল হক বিপুল, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ-এর উদ্যোগে রোববার বিকালে ভবানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিএনপির মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ টুকুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আবু নাসের ইঞ্জি: আপেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ও আমার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলীউল রেজা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রার্থী নির্বাচনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদের উদ্যোগে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতার বৈঠক করা হয়। বৈঠকে আমাকে একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কয়েকদিন পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। বিএনপি থেকে দুজন প্রার্থী হওয়ায় সমস্যা সমাধানে থানা বিএনপির নির্দেশে প্রার্থী বাচাই করার লক্ষে দলীয় ভোটের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেখানে দেখা যায় যে ৭৪ জন ভোটার তাদের দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। সেখানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ ৩৮ ভোট এবং আমি ৩৬ ভোট পাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমার চেয়ে যে দুই ভোট বেশি পেয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ ভোটারের ভোট দেয়ার অধিকারই নেই। কারণ তাদের মধ্যে অনেকেই শৃংখলা ভঙ্গের কারণে দলীয় পদ থেকে বহিস্কৃত। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে কোন কোন দলীয় নেতারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন তা আগে থেকে নির্দিষ্ট না থাকায় কিছু কিছু বহিস্কৃত নেতা আমার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। দল থেকে বৃহিস্কৃত নেতারা কিভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তা বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের নামে থানা বিএনপি বাণিজ্য করেছে। যার ফলে বহিস্কৃত নেতারা ভোট দিতে পেরেছেন এবং মাত্র দুই ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। যদি নিরপেক্ষ ও প্রকৃত ভোটারের ভোটাধিকারের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করা হয় তাহলে আমি দলীয় মনোনয়নে জয়ী হবো। স্থানীয় জনগণ যেহেতু আমার সঙ্গে রয়েছেন এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য জনগণ আমাকে উৎসাহ ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন, সেহেতু দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আবারো জয়লাভ করতে পারবো। কেননা জনগণ আমাকে আবারো চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় বলেই বাণিজ্যমূলক দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের বিরুদ্ধে আজকের এই প্রতিবাদ সভা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহম্মেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল বাছেত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান সেকুল, দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক উকিল, কোষাধ্য শফিকুল ইসলাম রাঙ্গা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ আলম, বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন মুকুল, বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী, আব্দুল হামিদ টুকু, ফজলার রহমান, আহম্মেদ আলী, শাহ আলম, গোলাম রব্বানী, সায়েদ জামান, আব্দুস সাত্তার, ইউনুস আলী, লোকমান হোসেন, ফরিদ উদ্দিন, আজমল হোসেন, আব্দুল মালেক, শরিফুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, কেজিএম, রেজাউল করিম, জালু মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, ফারুক হোসেন, মানিক হোসেন সহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।