আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হবে।
৪৮৭টি উপজেলা ও ৯টি মহানগরের ২২ হাজার ৯০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। বাসস
বুধবার ২৯ মার্চ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারের কেবিনেট নির্বাচনে ২২ হাজার ৯০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬ হাজার ৪০২টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৭২টি পদের জন্য ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯ জন। যা মোট ভোটারের ৫৩%।
নাহিদ বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদের একটি আসনে উপ-নির্বাচনের কারণে কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় ৩০ মার্চের পরিবর্তে ৮ এপ্রিল শনিবার স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ কেবিনেট নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ব্যানবেইসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। যার ফোন নম্বর ০২-৫৫১৫১৮১৭ এবং ইমেইল: studentcabinet2017@gmail.com
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা। তাছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না, সে জট নিরসনেরও একটি সফল প্রক্রিয়া হতে পারে এ কেবিনেট নির্বাচন।
তিনি বলেন, এ শিশুরাই আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তখন তারা উপলদ্ধি করবে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি। আর সে সময় স্কুলের এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে উৎসাহী হবে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যেমন জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হবে, তেমনি তারা অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনও শিখবে।
তিনি বলেন, স্টুডেন্টস কেবিনেটের আরো কাজ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধ, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন এবং ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এসব কর্মকাণ্ডে এবং শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষক ও অভিভভাবকদের সম্পৃক্ত করা।