শোলাকিয়া মাঠে বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ ৪ জন নিহত

sholakia attack

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১২ জন। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম সকালে বলেন, নিহত দুজনের মধ্যে একজন পুলিশের কনস্টেবল। তার নাম জহিরুল হক (৩৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। তিনি হামলাকারী হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

নিহত বাকি দুজনের মধ্যে একজন পুলিশ ও একজন নারী। র‍্যাব ১৪ ভৈরব ক্যাম্প সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলে ঝর্ণা রানি ভৌমিক নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত পুলিশ সদস্য আনসারুল্লাহ ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যান। হামলাস্থল থেকে চাপাতি ও বোমাসদৃশ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, সকাল নয়টার দিকে মুসল্লিরা যখন নামাজ আদায়ের জন্য শোলাকিয়া মাঠে যাচ্ছিলেন তখন আজিমউদ্দীন স্কুলসংলগ্ন মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা টহল পুলিশের একটি দলের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ সময় চাপাতি হাতে কয়েকজন যুবককে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে। তারা চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় শোলাকিয়া ময়দানে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
sholakia attack
পুলিশ শোলাকিয়া মাঠে যাওয়ার প্রধান রাস্তা স্টেশন রোড, গৌরাঙ্গবাজারের আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পরে পাঁচ থেকে ছয়জন হামলাকারী আজিমউদ্দীন স্কুলের আশপাশের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের ওপর গুলিও চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা অবস্থান নিয়ে গুলি করে। দুপুরে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো মিলে এলাকাটি ঘিরে আজিমউদ্দীন স্কুলসহ আশপাশের বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন একটি বাসা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশ। মামুন নামে আরেক সন্দেহভাজনকে শোলাকিয়া মাঠের পাশ থেকে আটক করা হয়েছে। বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেখানে চিকিৎসাধীন হামলায় আহত ছয়জন পুলিশকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে। তারা স্প্লিন্টারে আহত। তাদের অবস্থা গুরুতর। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকেও আহত দুই পুলিশ সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সিএমএইচে নেয়া হয়েছে। বাকিরা কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সূত্র : প্রথম আলো

Similar Posts

error: Content is protected !!