নিকলীতে ইজারাদার ও জেলেদের সংঘর্ষ : একজন আশঙ্কাজনক

nikli songhorso

নিজস্ব প্রতিনিধি ।।

ভাসমান পানিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ২৯ জুলাই শুক্রবার সকালে নিকলীর পইতাইন্না হাওরে জেলে ও ইজাদারদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইজারাদারদের ত্রিফলার (টেঁটা বিশেষ) আঘাতে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন (৩৮), তার ভাই বিল্লাল (৪২) এবং ইজারাদার পক্ষের জাফরাবাদ গ্রামের আ. হাসিমের ছেলে ইকবাল (৩৫)সহ কমপক্ষে ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

হুমায়ুনের অবস্থা আশঙকাজনক হওয়ায় তাকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
nikli songhorso
এ ঘটনায় জাফরাবাদ গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে হেলাল (৪০), আ. হাসিমের ছেলে সাদ্দাম (২৫) এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবালকে গ্রেফতার করেছে নিকলী থানা পুলিশ।

জানা যায়, উপজেলা সদরের সোয়াইজনী নদীর ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন গং দীর্ঘদিন যাবৎ নদীসংলগ্ন হাওরগুলিতে জেলেদের কাছে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা (জমা) না দিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় সিজনাল জেলে হুমায়ুন ও তার বড়ভাই বিল্লাল মাছ ধরতে যায়। ইজারাদার সাদ্দাম গং বাধা দিলে হুমায়ুন ভ্রাতৃদ্বয় রুখে দাঁড়ায়।

উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে সাদ্দাম গংয়ের ছোড়া ত্রিফলাবিদ্ধ হয় হুমায়ুন। আহত হয় উভয়পক্ষের অপরাপর কমপক্ষে ৪ জন। এ ঘটনায় হুমায়ুনের ভাই বিল্লাল বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলে পক্ষের কয়েকজন জানান, উপজেলার সব নদী, বিলের ইজারাদার পক্ষ সরকার থেকে ইজারা নেয়া জলমহালের নিকটবর্তী হাজার হাজার হেক্টর এলাকায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে থাকে। এসব ব্যাপারে সরকার পক্ষের কোনো প্রতিকার নেই বলে তাদের অভিযোগ।

নিকলী থানার পুলিশ কর্মকর্তা মঈন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

 

ছবি : আজিজুল হক

Similar Posts

error: Content is protected !!