যুব গেমস ২০১৮ : জেলায় সাঁতারে সেরা নিকলী


নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বিভিন্ন ইভেন্টে আয়োজিত বাংলাদেশ যুব গেমস ২০১৮-এর কিশোরগঞ্জ জেলায় সাঁতার পর্বে বালক ও বালিকা উভয় গ্রুপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে নিকলী উপজেলা। এছাড়া সাঁতারে বালক বিভাগে বাজিতপুর উপজেলা ও বালিকা বিভাগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা রানার্স আপ হয়েছে।

বাংলাদেশ যুব গেমস ২০১৮-এর প্রথম ধাপ জেলা পর্যায়ের খেলা শুরু হয়েছে সোমবার ১৮ ডিসেম্বর। একসাথে দেশের ৬৪টি জেলায় পর্দা উঠেছে গেমসের। টুর্নামেন্টে দলীয় ও ব্যক্তিগত ২১টি ডিসিপ্লিনে ১৭ বছরের কম বয়সী ২৩ হাজারের বেশি ক্রীড়াবিদ অংশ নিবেন। ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা, হকি খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিকে গেমসের ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

গেমসের জেলা পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে কিশোরগঞ্জ জেলায় সাঁতারের বিভিন্ন ইভেন্টে নিকলী উপজেলার বালক ও বালিকা সাঁতারুদের নৈপুণ্যে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ফুটে উঠেছে। সাঁতার পর্বে প্রথম হয়েছেন যারা : বালক ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে মোহাম্মদ টিটু (নিকলী), ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে হিমেল (নিকলী), ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে জামরুল (নিকলী), ৫০ মিটার এবং ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে মিঠু (বাজিতপুর), ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে মোহাম্মদ আরিফ (বাজিতপুর) এবং ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে হিমেল (বাজিতপুর)। বালিকা ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে সেতু আক্তার (নিকলী), ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে মিম (নিকলী), ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে আঁখি (নিকলী), ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে বৃষ্টি (কটিয়াদি), ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে ইশামনি (নিকলী) এবং ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে সুবর্ণা আক্তার সাথী (নিকলী)।

দ্বিতীয় দিন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কামরুন নাহার হিরু এবং কিশোরগঞ্জ সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলু।

যুব অ্যাথলিটদের পড়াশোনার কথা ভেবে তিন ধাপে করা হচ্ছে গেমস। ১৮ থেকে ২৪ ডিসেম্বর জেলা পর্যায়ে, ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ৯ থেকে ১৭ মার্চ হবে জাতীয় পর্যায়ের ইভেন্টগুলো। কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ক্লাব বা বাহিনীর দল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। শুধু নিজ উপজেলা, জেলা ও বিভাগের পক্ষে অংশ নেয়া যাবে।

২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর ও এরপর জন্ম নেয়া প্রতিযোগীরাই এ যুব গেমসে অংশ নিতে পারবেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ সন্ধান সফল করতে খেলোয়াড়দের যাতায়াত ভাড়া ও খাবার খরচ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রথম তিনে থাকা অ্যাথলিটদের মেডেল ও পুরস্কার দেয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমে আলাদা সাক্ষাতকারের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

Similar Posts

error: Content is protected !!