বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রলিচাপায় মো. তৌহিদ (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তৌহিদ উপজেলার কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার ময়না মিয়ার পুত্র।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ঘটনার দিন বিকেলে তৌহিদ বাইসাইকেলে জারইতলা-কামালপুর সাবমার্সেবল সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। স্থানীয় এমকেএম ও সামিয়া ব্রিকস ইটভাটার মাটি বহনকারী একটি ট্রলি বাইসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দিয়ে ঘাতক চালক পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তৌহিদের মৃত্যু হয়।
জারুইতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মানিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) রাতে কামালপুর মাঠে আমার সভাপতিত্বে এক সালিশ বসে। সালিশে মিমাংসা না হওয়ায় আমি তাদের বলেছি থানায় মামলা করার জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, এর আগে ২০১১ সালে কুর্শা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবু তালেবের পুত্র তোফাজ্জল (১২), ২০১৭ সালে পাঁচরুখির আ. মালেকের পুত্র সেন্টু (৪০), ২০১৮ সালে কুর্শা পশ্চিমপাড়ার সাইদুর রহমানের পুত্র সাদেক (২৫) স্থানীয় ইট ভাটার বেপরোয়া ট্রলি চাপায় প্রাণ হারায়। প্রভাবশালী ভাটা মালিক স্থানীয় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে সামান্য ক্ষতিপূরণের বিপরীতে ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
তারা আরো জানান, ভাটাগুলোর কাজে ব্যবহৃত শতাধিক ট্রলির বেশিরভাগ বৈধ কাগজবিহীন। স্বল্প মজুরীতে ভাটা মালিকরা লাইসেন্সবিহীন ও শিশু-কিশোরদের চালক নিয়োগ দেয়ায় দুর্ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।
এ ব্যাপারে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাছির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।