আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর জিওসি ছিল মেজর জেনারেল হাফিজ। সেদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলাম খুব সকালে জিওসির বোন হাটতে বেরিয়েছিল, স্থানীয় কিছু লোক নাকি তাকে উত্যক্ত করেছে। এর মাঝে একজন নাকি তার বোনের ওড়না ধরে টানও দিয়েছে। আপু বাসায় গিয়ে ভাইয়ের কাছে সেই বিচার।
বিপরীতে ভাই কয়েক প্লাটুন সেনাসদস্য পাঠিয়ে দিল। মুহূর্তেই তাকে ধরে ফেলল। তার নাম ছিল কালু। এমনভাবে মারল স্পট ডেড। ৫-৬ ঘণ্টার মাঝেই সঠিক সাজা। কোনো গণমাধ্যম সেদিন নিউজ কাভার করেনি। সামান্য ইভটিজিং-এ এই জিওসি নিজের বোনের জন্য এমন করল। তাহলে আজ সেনানিবাস এলাকার ভিতরে এত বড় ঘটনা, যেখানে কিনা একটি মেয়েকে জীবন দিতে হলো, এর বিচার হচ্ছে না কেন??
কারণ, সেদিনের ইভটিজার ছিল সাধারণ লোক, যাকে শাস্তি দিলে কাউকে জবাবদিহিতা করতে হবে না। ইভটিজিং-এর শাস্তি কিন্তু মৃত্যদণ্ড হতে পারে না।
যাই হোক, আপনি জানেন কি আজকের খুনি স্বয়ং ক্যান্টনমেন্ট-এর সেনাসদস্য। কেন আঙুল তুলে তাদের দেখালাম, চাইলে এক দিনেই তারা খুনিকে বের করে শাস্তি দিতে পারে; কিন্তু দিচ্ছে না হয়তো নিজেদের নামটা প্রকাশ পেয়ে যাবে তাই।
জানতে চান সেদিন কি হয়েছিল? তাহলে শুনুন
সোহাগী থিয়েটার করতো, মাঝে মাঝে ফিরতে রাতও হতো।
পরিবারের সদস্যের পক্ষ থেকে শুনলাম সেদিন সোহাগী থিয়েটার করে বাসায় ফিরছিল। ক্যান্টনমেন্ট-এর ২য় গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় থেকেই হয়তোবা তার বিপদ শুরু। কেননা সেদিন সন্ধ্যা ৭.৩০-এর পর কাউকেই নাকি ওই রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি, কিন্তু কেন??? উত্তর কেউই দিবে না….
যেই কালভার্ট নিয়ে এতো কথা সন্ধ্যা থেকেই সেখানে ছিলেন সোহাগীর মা। কই তখন তো সেদিকে কেউই ছিল না।
রাত প্রায় ১০টা, সোহাগীর বাবা ফিরলেন বাসায়। এসে শুনলেন মেয়ে বাড়ি ফেরেনি, ফোনও বন্ধ। বের হয়ে গেলেন খুঁজতে। কালভার্ট এলাকায় আসতেই প্রথমে চোখে পড়ে সোহাগীর একটি জুতা। তার কিছুদূর যাওয়ার পর কিছু চুল। আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না সোহাগীর বাবা। কেঁদে ফেললেন। মুহূর্তেই এমপি এসে হাজির। সেনানিবাস এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তার কাছে সাহায্য চাইলেন তার মেয়েকে খুঁজে দিতে। কিন্তু এমপি নাকি চুপ করেই ছিলেন।
♦জানতে চাই এই চুপ করে থাকার মানে কি??? যেখানে আমাদের কথা বলার চান্সই তারা কখনো দেয় না…
যখন মেরে ফেলা হল, তখন এমপি আসেনি; কিন্তু এখন খোজার সময় এত জলদি কোথা থেকে উদয় হলেন??? কিছু দূরে সোহাগীর ফোনটি বাজছিল যা এতক্ষণ অফ ছিল।
পরিশেষে পাশের একটি ঝোপের মাঝে উপুড় হয়ে থাকা সোহাগীর লাশ পাওয়া গেল।
★খেয়াল করুন-
সেদিন হঠাৎ ক্যান্টনমেন্ট-এর ২য় গেট বন্ধ কেন?
কালভার্ট থেকে কেন কিছুদূর পর পর এই আলামত রাখা হল?
এমপি চুপ করে থাকার রহস্য?
বিশেষত– যে এলাকায় লাশ পাওয়া গেছে সেখানে সোহাগী মারার তেমন আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন??
কারণ সোহাগীকে এখানে ধর্ষণ করাও হয়নি, এখানে মারাও হয়নি। অন্য কোথা থেকে লাশ এখানে এনে রাখা হয়েছে। যেখানে ২-৩ মিনিট পর পর এমপি, এফআই গাড়ি টহলে থাকে সেখানে সোহাগীকে ধর্ষণ করে কতক্ষণে??
একটু ভেবে দেখুন ধর্ষণে কিন্তু কেউ মারা যায় না। যেমনি হোক বাঁচবে; কিন্তু ও মারা গেল কি করে? যা শুনেছেন সবই সাজানো কাহিনী।
সোহাগীর পুরো শরীরে নরপিশাচরা এতটাই আঘাত করেছে অতিরিক্ত মারের দাগ ছিল। নরপিশাচরা মাথার চুলে এতটাই টান দিয়েছে চামড়াসহ উঠে গেছে। যার ফলে কান নাক দিয়ে প্রচুর ব্লেডিং হয়েছে। গলায় কোনো কাটা ছিল না… না এবং না। সবকিছুর বিপরীতে সোহাগী আর নেই।
একটু ভেবে দেখুন হাফিজ সাহেবের বিচার, আর বর্তমান অবস্থা।
কেন এমন জানেন? আশা করি আর বলতে হবে না, কেচো খুড়তে গিয়ে পরে সাপ বের হবে। সেনা এরিয়ায় একটা মশাও ঢুকতে অনুমতি লাগে, আর এত বড় ঘটনা হবে কেউই দেখবে না! এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।
সেনাসদস্য কেউ করেছে কাজটা, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যদি দোষ শিকার করা হয় মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করবে না। তাই এমন নাটক সাজানো। বিচার হবে হয়তো তাদের আইনে! কোর্ট মার্শাল হবে, যা আমরা কখনই জানবো না।
আরও কি কুমিল্লা মেডিকেল থেকে লাশ নিয়ে আসার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেপ রিপোর্ট দিতে চায়নি। মামলা করার পর থেকে সোহাগীর বাবাকে হুমকি দেয়া হয়ে গেছে বেশ করেকবার।
পরিশেষে- এদেশে আন্দোলন করে লাভ নাই বিচার পাব না। যেখানে স্বয়ং সেনাবাহিনী জড়িত সেখানে কিসের বিচার??
যেখানে নিজের বোনের ইভটিজিং-এর বিচার মৃত্যুদণ্ড, আর আমার বোনকে মারার পরেও চুপ করে বসেই থাকবে এই সেনানিবাস!? সেখানে কাকে কি বলবেন? উচিত নিজে মরে যাওয়া।
তারা আমার চেয়ে অনেক দক্ষ। তাই বলে দিতে চাই না কি করে শয়তানগুলোকে বের করবে। মনে রাখবেন- সিসিটিভিতে ঘেরা পুরো কুমিল্লা সেনানিবাস।
মনে রাখবেন- গণমাধ্যম প্রবেশ নিষেধ। তারা যে কিছু বের করবে সেও চান্স তারা দিবেই না।
তাহলে কে করবে এই বিচার???
সূত্র : জনতার কথা