১৫ শতাংশ বয়স্ক মানুষ মাইগ্রেন তথা আধকপালে মাথাব্যথায় ভোগে। মাইগ্রেন হলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয়। আলো ও শব্দ মাইগ্রেনের শিকার মানুষের জন্য এক যন্ত্রণা। মাইগ্রেনের শীর্ষ কারণ স্ট্রেস বা পীড়ন। ৮০ শতাংশ মাইগ্রেনের পেছনে এই পীড়ন দায়। তবু হরমোন, ঘাড়ব্যথা, অঘুমা ও ধোঁয়া মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। তাহলে কী করে মাথাব্যথা থেকে দূরে রেখে আমরা মাথাটা ঠিক রাখতে পারি?
০১. বেশি মাত্রায় পেইন কিলার বা বেদনানাশক খাবেন না। জার্মান গবেষণা মতে, সপ্তাহে দুইবারের বেশি পেইন কিলার খেলে মাইগ্রেন ফিরে আসতে পারে। কিন্তু হতাশ হবেন না, আরো নানা ধরনের থেরাপি আছে যা এই মাথাব্যথা থামাতে পারে।
০২. চর্বি খাওয়া কমিয়ে দিন। ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১২ সপ্তাহ ধরে মাইগ্রেন রোগীদের কম চর্বির খাবার খেতে দেন। এতে কী ফল দাঁড়াল? ৯০ শতাংশ জানালেন- তাদের মাইগ্রেনের ব্যথা ৪০ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও বেশি কমে গেছে। যাদের মাইগ্রেন হয়েছে, তার স্থায়িত্ব ৭৭ শতাংশ কমেছে এবং মাইগ্রেইনের ব্যাপকতা কমেছে ৬৬ শতাংশ।
০৩. হার্বাল ব্যবহার করুন। Bulterbur সঠিক হার্বাল। এটি অনেক বড় এক বিরেচক লতাবিশেষ। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ভলান্টিয়ার Bulterbur বড়ি সেবন করেছেন, তাদের ৬৮ শতাংশের ৫০ ভাগেরই মাইগ্রেন কমে গেছে। এটি অনলাইন হেলথশপে পাওয়া যায়।
০৪. হোমিওপ্যাথির কাছে যাবেন না। যুক্তরাজ্যে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, তিন মাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পরও মাইগ্রেনের কোনো পরিবর্তন আসেনি।
০৫. রসায়নবিদের সাথে দেখা করুন। ব্যথা উপশমের মাইগ্রেন ফর্মুলা হচ্ছে, মাথাব্যথা একবার হলে পেইন রিলিভার নেয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের মাথাব্যথায় পেইন রিলিভার নয়, সেসব পেইন রিলিভার নেবেন যাতে আছে অ্যাসপিরিন, কেফিন ও প্যারাসিটামল। এগুলো আপনার মাইগ্রেন ব্যথা কমাবে আইবোপ্রোফেনের তুলনায় ২০ মিনিট আগে।