কবির হোসেন ।।
মুক্তাগাছায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যাওয়া। ময়মনসিংহ শহরের টাউনহল থেকে সিএনজিযোগে মাত্র চল্লিশ মিনিট রাস্তা অতিক্রম করলেই মুক্তাগাছা শহর। রাস্তার দু’ধারের সমতল ভূমিতে সবুজের হাতছানি। সিএনজি থেকে নেমে জনৈক মুদি দোকানিকে জিজ্ঞেস করতেই মুক্তাগাছা শহরের মাহারাজা রোডের শেষ প্রান্তে গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (সিংহ মার্কা) দেখিয়ে দিলেন। দোকানে ঢুকতেই বিপ্লবপাল চটপট ভঙ্গিতে, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে চেয়ার এগিয়ে দিলেন বসার জন্য। প্রতিটি মণ্ডার গায়ে যাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দগাঁথা জড়িয়ে আছে, ইচ্ছে ছিলো মানুষগুলোর অভিব্যক্তি শোনার। হাতে একদম সময় না থাকার কারণে শোনা হয়ে উঠেনি। সময় অল্প হলেও বিপ্লব আর সুমনপাল দুই ভাইয়ের আতিথেয়তা মুগ্ধ করেছে।
দোকান মালিক বিপ্লব বলেন, দেরশত বছর আগে আমার দাদা গোপাল মণ্ডা তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। হাটি-হাটি পা-পা করে বর্তমান অবস্থানে। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে দুধ সংগ্রহ করে, খাঁটি দুধের ছানা দিয়ে আমরা প্রতিটি মণ্ডা তৈরি করে থাকি। শুধু মণ্ডাই নয় রসগোল্লা, রসমালাই, মালাইকারী, দই ও খাঁটি ঘি পাওয়া যায় এখানে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার ও মাল নিতে আসে আমাদের এখানে। আস্তে আস্তে প্রসার লাভ করেই সারাদেশে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে আমাদের মণ্ডা।
সুমন পাল বলেন, সততা আর বিশ্বস্ততাই আমাদের ব্যবসার প্রধান পুঁজি। দাদার রেখে যাওয়া ব্যবসা আঁকড়ে ধরে পড়ে আছি। বাজারে নকল মণ্ডার ছড়াছড়িও কম নয়। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যবসার আরো প্রসার ঘটাতে পারতাম।
লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খালিয়াজুরী, নেত্রকোনা।