আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
চেনার কোনো উপায় নেই কুর্শার প্রাচীন মসজিদটিকে। রং করে ৩ শত ২৪ বছরের স্মৃতিকে বিকৃত করা হয়েছে। নিকলী সদর ইউনিয়নের কুর্শা গ্রামে ১১১৩ হিজরীতে মামুদ নিয়াজ খাঁ নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মামুদ নিয়াজ খাঁ ঈসা খাঁর নৌ বাহিনীর একজন সৈনিক ছিলেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, দৈর্ঘ্যে ১০ হাত ও প্রস্থে ১০ হাত আকারের মসজিদটি কিশোরগন্জ জেলার আয়তনে সবচেয়ে ছোট মসজিদ। এটির ভেতর বাইরে ২টি ফলক রয়েছে; যাতে আররি ক্যালিগ্রাফি লেখা রয়েছে। মূল মসজিদের ছাদে একটি গম্বুজ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোগল স্থাপত্যের নির্মাণ শৈলী আর নেই। এই মসজিদটিতে চুনকাম করা হয়েছে। প্রাচীন স্থাপনার নিদর্শন ঠিক রেখে সংস্কারের চেষ্টা এখানে দেখা যায়নি। পুরো অংশে ঢালাওভাবে চুনকাম করায় এখন দেখলে অবয়বে মসজিদটিকে মনে হবে না যে এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। সেখানে গম্ভুজসহ মসজিদের ভেতর ও বাইরে সবুজ রং করা হয়েছে।
জানা যায়, মসজিদ কমিটির লোকজন অসচেতন হওয়ায় মারাত্মক এই ভুল করেছেন। প্রাচীন পুরাকীর্তী এভাবে বিনষ্ট হওয়ায় কি করণীয় জানতে চাওয়া হয় পুরাকীর্তি ও ইতিহাস গবেষক প্রিন্স রফিক খানের কাছে। এ প্রতিবেদককে তিনি জানান, নিকলীর প্রাচীন কুর্শার মসজিদ, শাহপুর মসজিদ, গুরুই মসজিদ, নানশ্রীর মসজিদসহ আরো যেসব প্রাচীন স্থাপনা আছে এগুলি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টি রাখা উচিত। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত অথবা কমিটির পক্ষে স্থাপনাগুলি সংস্কারের প্রয়োজন হলে যাতে মূল স্থাপনার স্মৃতি নষ্ট না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।