কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জের বৌলাইয়ে শিশু ধর্ষণের জেরে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন। ৯ অক্টোবর রোববার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জেলা সদরের বৌলাই ইউনিয়নের পূর্ব ভরাটি গ্রামে দুই পরে মধ্যে ওই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে নিহত দুই সহোদর হলেন পূর্ব ভরাটি গ্রামের মরহুম কাছুম আলীর ছেলে আব্দুল আলী (৫০) ও তার ছোটভাই আবু সিদ্দিক (৪৫)। তাদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিব খান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নারী পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ৪০ জন। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পূর্ব ভরাটি গ্রামের এক অটোচালকের ৯ বছরের মেয়েকে কিছুদিন আগে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫)। এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশু মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক শফিকুলকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। কয়েকদিন আগে আসামী জামিনে বের হয়ে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। এর সূত্র ধরে গতকাল বিকালে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষের সময় আসামী শফিকুলের ছোট দুই চাচা আব্দুল আলী ও আবু সিদ্দিক রামদার আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ নারী-পুরুষ।
খবর পেয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রাকিব খানের নেতৃত্বে বিপুল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান জানিয়েছেন। লাশ দুটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।