ইখলাস বা আত্মনিষ্ঠা সকল ইবাদতের পূর্ব শর্ত। ইবাদতের বাহ্যিক রূপ তো কেবল কিছু শারীরিক ক্রিয়ালাপ।
ইবাদতের আত্মা বা প্রাণ হলো ইখলাস। তিনি তো অন্তর্জামী। তিনি সবকিছুই জানেন। কোনো কিছুই গোপন থাকে না তার কাছে। আর দশটি ইবাদতের তুলনায় কোরবানিতে ইখলাস বা আত্মনিষ্ঠা ঠিক রাখা একটু কঠিনই বটে। পশুর মূল্য, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান, স্বল্প মূল্যের পশুতে লোকে কি বলবে ইত্যাদি সবকিছুই একনিষ্ঠতার প্রতিবন্ধক।
হাটের বড় পশুটা কোরবানি করলে সওয়াব অবশ্যই বেশি। তবে তার আগে নিজেকেও একটু ঝালিয়ে নেয়া প্রয়োজন। চোখ মুদে নিজেকে একটু প্রশ্ন করি, বড় পশুর টার্গেট ইখলাসের মাপকাঠিতে কতটুকু উত্তীর্ণ? শুধুই কি আল্লাহর জন্য নিবেদিত হয়েই এটি করছি? নাকি প্রশংসা কুড়ানো, হাইলাইটস হওয়া ইত্যাদি আরো অনুঘটকও রয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমার কাছে তোমাদের কোরবানির পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছে না। কেবলমাত্র তাকওয়া ছাড়া।’ সুরা হজ, আয়াত : ৩৭
হযরত আয়েশা রা. বলেন, মহানবী সা. বলেছেন, কোরবানির দিন জবাই অপেক্ষা কোনো আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এর শিং, লোম ও পায়ের খুরসহ সব উপস্থিত হবে। এর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়। তিরমিযী, হাদীস নং ১৪৯৯
তাই সব চিন্তার ঊর্ধে উঠে মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্যই আমাদের কোরবানি নিবেদিত হতে হবে। তবেই আমরা উভয় জগতের অসীম কল্যাণের অধিকারী হতে পারব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কোরবানি ও সকল ইবাদত কবুল করবেন এই প্রত্যাশাই রইল।
যে শর্ত পূরণ না করলে কোরবানি কবুল হয় না
