আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
অবশেষে আশঙ্কা সত্যি হলো, হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে ফুটবলকেই চিরতরে “বিদায়” বলে দিলেন সার্জিও আগুয়েরো। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম “মার্কা” এমনটাই জানিয়েছে।
“রেডিও মার্কা”র সাংবাদিক জেরার্ড রোমেরো জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ের ঘোষণা দেবেন আগুয়েরো।
গত জুনে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ফ্রি-ট্রান্সফারে বার্সায় আসেন আগুয়েরো। কাতালান জায়ান্টদের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিনি। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়েন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এরপর গত ১৭ অক্টোবর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় তার।
বার্সার জার্সিতে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেছেন আগুয়েরো। এই সময়ে মাত্র একবার গোলের দেখা পান তিনি। সেই গোলও আবার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুয়ে এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে বার্সার হয়ে মাত্র ১৬৫ মিনিট খেলেছেন তিনি।
সর্বশেষ আলাভেসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচে মাঠে হঠাৎ সার্জিও আগুয়েরোকে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়। তিনি ইশারা দিয়ে জানান, মাঠ ছাড়তে চান। পরে মেডিক্যাল স্টাফরা মাঠে দৌড়ে গেলেও বুকে হাত দিয়ে মাঠে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকা আর্জেন্টাইন তারকা নিজেই ধীরে ধীরে মাঠ ছাড়েন। বুকে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
শুরুতে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগুয়েরোর হৃদযন্ত্রের সমস্যা চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব। এজন্য হয়ত ৩ মাস লাগতে পারে। কিন্তু এখন জানা গেল, ক্লাবের মেডিক্যাল টিম এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শের পর অবসরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত এক দশক ম্যানচেস্টার সিটিতে কাটানো আগুয়েরো তার ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে গত ১ জুলাই ফ্রি ট্রান্সফারে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্প ন্যুতে যোগ দেন। বার্সার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছিল ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। তার বাইআউট ক্লজ ধরা হয়েছিল ১০ কোটি ইউরো। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন।
গত জুনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেন আগুয়েরো। পোর্তোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি। সিটির হয়ে সব মিলিয়ে ৩৯০ ম্যাচে আগুয়েরো করেছেন ২৬০ গোল। সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ৭৪টি। পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি এফএ কাপ, ছয়টি লিগ কাপসহ জিতেছেন মোট ১৫টি শিরোপা।