আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
শিকারির হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রকৃতি অনেক প্রাণীকেই এমনভাবে তৈরি করেছে, যাদের জন্ম থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। তবে একেকজনের ধরন একেক রকম।
সজারু
সজারুর দেহে প্রায় পাঁচ হাজার কাঁটা রয়েছে। যখন শত্রুর আক্রমণ হয় তখন এরা নিজের মাথাকে পেটের মধ্যে এমনভাবে লুকিয়ে ফেলে দেখে মনে হবে একটা কাঁটার বল।
কচ্ছপ
সমুদ্র ও নদীর কচ্ছপদের খোল হয় অনেক শক্ত। শিকারীরা যখন ধরতে আসে তখন অনেকেই এই শক্ত খোলের ভেতর আত্মগোপন করে।
কুমির
হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম বলা হয় কুমিরকে। এদের দেহে রয়েছে শক্ত অস্থি আর হাড়ের সন্নিবেশ। চামড়ায় রয়েছে শক্ত কাঁটা। এছাড়া দুটি দীর্ঘ পাটিতে রয়েছে তীক্ষ্ণ দাঁতের সারি।
প্যাঙ্গোলিন
এই প্রাণীর আটটি প্রজাতি রয়েছে, যেগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। এরা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যাদের দেহে কেটাটিনের আবরণ রয়েছে। এই শক্ত খোল এবং মাংসের জন্য এদের শিকার করা হয়।
গন্ডার
সম্প্রতি অবৈধভাবে গন্ডার পাচারের জন্য পত্রিকার শিরোনাম হয়ে উঠেছে এই প্রাণীটি। গন্ডারের আত্মরক্ষার প্রধান অস্ত্র এর শিং এবং এদের চামড়া এতটাই পুরু যে তা সহজে ভেদ করা যায় না।
আর্মাডিলো
প্রাগৈতিহাসিক চেহারার এই প্রাণীর শরীরটি শক্ত হাঁড়ের পাত দিয়ে তৈরি। অথচ পেটটা খুবই নরম। এর নামটি স্প্যানিশ, যার অর্থ ‘অস্ত্রে সজ্জিত ছোট্ট প্রাণী’। শিকারির হাত থেকে বাঁচতে এরা নিজের দেহকে এমনভাবে গুটিয়ে ফেলে, মনে হয় একটি শক্ত বল।
সূত্র : অস্ত্রধারী প্রাণী! [ডয়চে ভেলে, ১৮ জুন ২০১৭]