বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিলেট সফরে যাওয়ার পথে ভৈরবে অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড়ে পৌঁছার মিনিট পনেরো আগে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ছাড়াও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করলে দুর্জয় মোড়সহ সংলগ্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মিনিট পনেরোর এই সংঘর্ষে ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেসুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, এসআই আজিজ ও সার্জেন্ট শাহাদাত ছাড়াও বিএনপির অন্তত ১১ নেতাকর্মী আহত হন।
আহতদের মধ্যে ভৈরব উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, শ্রমিকদল নেতা মোবারক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোহাম্মদ ফরহাদ, হাজী আসমত কলেজ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম পাভেলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে জুয়েল, আতাউর ও আকরাম নামের তিন বিএনপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের বাসভবন থেকে রফিকুল ইসলামসহ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মো. বাহার মিয়া, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান পার্ণেল ও ভৈরব পৌর যুবদল নেতা মাসুদকে আটক করে পুলিশ। বিকালে আটক বিএনপির আট নেতাকর্মীকে কড়া পুলিশ প্রহরায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এনে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভৈরব থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. মোখলেসুর রহমান।
এদিকে, আজ দুপুরে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু গাড়িবহরে যোগ দিতে ভৈরব উপস্থিত হলে তাকেও পুলিশ আটক করে। আমাদের নিকলী ডটকম-কে মুঠোফোনে তিনি জানান, “গাড়িবহরে যোগ দিতে আসলে সংঘর্ষের সময় আমাকে আটক করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা আটক রাখার পর দলের আরো দু’জন নেতাসহ আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।”