আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের জন্য কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শোলাকিয়ায় সকাল ৯টায় অনুষ্ঠেয় ঈদ-উল-আযহার জামাতে ইমামতি করবেন শহরের মার্কাস মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। এটি শোলাকিয়ার ১৯১তম ঈদ-উল-আযহার জামাত।
চারস্তরের নিরাপত্তা বলয়ে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, ২ প্লাটুন বিজিবিসহ বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মাঠ ও আশপাশের এলাকাকে ৮টি সেক্টরে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করবে নিরাপত্তা বাহিনী। আর সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে দু’টি শক্তিশালী ক্যামেরাসমৃদ্ধ ড্রোন।
২০১৬ সলে ঈদুল ফিতরে জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে নিরাপত্তার দিকটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শন করে সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সবশেষ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট ২০১৮) বিকেলে মাঠের চূড়ান্ত প্রস্তুতি পরিদর্শন করে ঈদগাহ কমিটি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ‘কোনো ঝুঁকি না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই শোলাকিয়ায় প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। মাঠে থাকবে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
এ দিকে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈদের দিন ভৈরব বাজার ও ময়মনসিংহ থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়। ময়মনসিংহ থেকে পৌনে ৬টায় ছেড়ে যাওয়া অপর ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে। ঈদের নামাজের পর দুটি ট্রেনই ১২টায় গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
জানা যায়, প্রায় ৭ একর আয়তনের এ মাঠে কোন এক ঈদের জামাতে এক লাখ ২৫ হাজার বা সোয়া লাখ মুসল্লি একসাথে জামাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই থেকে এ ঈদগাহের নাম হয় সোয়া লাখিয়া। যা এখন শোলাকিয়া হিসেবে পরিচিত। বাসস