মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, হেফাজতের আন্দোলনের সাথে কওমী সনদের স্বীকৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এমএ-এর মর্যাদা দেয়নি। তিনি হেফাজতের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে সম্মান করেন বলেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইসলামের উন্নয়নের জন্য এ মর্যাদা প্রদান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, তার (মন্ত্রী) নানাও একজন বড়মাপের আলেম ছিলেন। আলেমের নাতি হিসেবে তিনিও বড় হুজুরকে গভীর শ্রদ্ধা করেন। মন্ত্রী শনিবার (১৩ অক্টোবর ২০১৮) আল আমীন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত কওমি সনদ আদায়ের জন্য আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদত্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
হাটহাজারী মডেল সরকারি পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অভিব্যক্তি প্রদানকালে শাহ আহমদ শফী বলেন, হেফাজতে ইসলাম হলো মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার সংগ্রামে একটি বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন। আমরা এই ঈমানি আন্দোলনের নীতি ও আদর্শ সংরক্ষণে সদা প্রস্তুত রয়েছি। এ সংগঠন কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয় এবং কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য হেফাজতে ইসলামের নেই। কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না, কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়নি, দেবেও না। কিন্তু কোনো নাস্তিক বা তাদের দোষরেরা যেন নির্বাচনে আসতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। হেফাজতের নীতি আদর্শের ওপর এ সংগঠন অটল রয়েছে। ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতের আন্দোলন চলবে। হেফাজতে ইসলামের কাজ হলো মহান আল্লাহ তা’য়ালা, মহানবী হযরত মোহাম্মাদ স.-এর শান-মান মর্যাদা রক্ষা, নাস্তিকবাদী ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি এবং বিশ্ব ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদি খৃষ্টান সামরাজ্যবাদী রাম-বাম গোষ্ঠির মোকাবেলায় সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দেশী বিদেশী কোনো অপশক্তি ইসলামকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়ার স্পর্ধা দেখালে দেশের তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ খলিল সিকদার-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাটহাজারী কলেজের অধ্যক্ষ মীর কফিল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, পটিয়া মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আবু তাহের নদভী, দারুল মা’আরিফ মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা জসিম উদ্দিন নদভী, মোজাহের উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা লোকমান হাকিম, ফিরোজ শাহ কলোনী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা তাজুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।