নিকলীতে আত্মীয়ের বেশে অজ্ঞান পার্টি! অতপরঃ

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আত্মীয় পরিচয়ে বেড়াতে আসা চোরের নিয়ে আসা মিষ্টি খেয়ে অজ্ঞান হওয়া একটি পরিবারে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর ২০১৮) রাতে উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জ্ঞান হারানো ৪জনকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন- বড়কান্দা গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী রাবিয়া বেগম (৫০), কন্যা দশম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার (১৬), পাখিমা (২০) ও পুত্রবধূ আমেনা বেগম (২৫)।

ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের রইছ উদ্দিনের বাড়িতে আত্মীয়ের পরিচয়ে বেড়াতে আসে মারুফ (২২) ও মারুফের খালাতো ভাই পরিচয়ের আরেক যুবক। সাথে নিয়ে আসে এক কেজি ওজনের মিষ্টির প্যাকেট। মারুফ পার্শ্ববর্তী সিংপুর ইউনিয়নের চেীদ্দহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র।

সন্ধ্যায় বিদায় নিয়ে মারুফ ও সঙ্গীয় যুবক একই গ্রামের পুবপাড়ার মামা মুমিনের বাড়িতে রাত্রি যাপন করতে যায়। রাতে রইছ উদ্দিনের পুত্র ফেরদৌস মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়ার স্ত্রী আলফিনা (১৭) ব্যতীত সকলেই অতিথিদের আনা মিষ্টি খায়। মাঝ রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে মারুফ।

ফেরদৌস মিয়া জেগে উঠে মারুফকে দেখতে পায়। মারুফ দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘরের অন্য সদস্যদের ডাকাডাকি করলে আলফিনা ছাড়া কারও সাড়া মেলে না। রাতেই এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনের বাড়িতে গিয়ে মারুফের ঘুমানোর ঘরে তালা দিলে মারুফ কৌশলে পালিয়ে যায়। সকালে অজ্ঞান ব্যক্তিদের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল সাফি জানান, মিষ্টিতে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানোর আলামত মিলেছে। জ্ঞানহারাদের লক্ষণেও চেতনানাশক দ্রব্যের ক্রিয়া দেখা গেছে। ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মুখলেছ মিয়া জানান, আমার বাবাও মিষ্টি খেয়েছিলো। সামান্য খাওয়ায় তার শুধু বমি হয়েছে। হাসপাতালে আনিনি। রোগি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় জানাতে পারিনি।

Similar Posts

error: Content is protected !!