অ্যাসিডিটিকে না বলুন

কম্পিউটার ডেস্কে বসে কাজ করতে করতে খাবার খাওয়া, যেকোনো অফিসে গেলেই দেখতে পাবেন। সারাদিন ধরে মিটিং, কনফারেন্সে ব্যস্ত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কথা, রোজের লক্ষ্যপূরণ… অনেক দিন ধরেই এই ধরনের লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এসব ডিঙিয়ে সময় কোথায় ধীরে-সুস্থে খাবার খাওয়ার!

তাই ব্রেকফাস্টের বদলে কাপের পর কাপ কফি, আলোচনা সারতে সারতে গ্রিলড স্যান্ডুইচ – এই তো খাবার এখন কর্পোরেট ওয়র্ল্ডের। এছাড়া, অবসাদ কমাতে অ্যালকোহলে আসক্তি তো রয়েছেই। ফলাফল, কুড়িতেই গ্যাসট্রিক অ্যাসিডিটি। যা খাচ্ছেন, তাই-ই হজম হচ্ছে না। কিছু খেলেই গলা-বুক জ্বালা, পেটে ব্যথা, বদহজমের ঢেঁকুর ওঠা, গা বমি ভাব।

অনেকে তো আবার এই সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যাকে গুলিয়ে ফেলে সমস্তাটাই আরো জটিল করে ফেলেন।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো, ব্রেকফাস্ট স্কিপ, হাতের গোড়ায় যা পাওয়া যাচ্ছে তা-ই খাওয়া এবং বদ হজম কমাতে মুঠো মুঠো জোলাপ জাতীয় ওষুধ আর অ্যান্টাসিডের বড়ি গেলা – এগুলো সমাধান নয়। বরং সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে হজমের সমস্যা কমে না। উল্টে ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়।

রেহাই মিলবে কিসে? এমনিতেই ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে থাকা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তার উপর খালি পেটে বার বার চা-কফি খেলে বদহজমের আশঙ্কা ৯০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই একান্তই ব্রেকফাস্ট করতে না পারলে কফির বদলে ডাবল এসপ্রেসো গ্রিন টি, টাটকা লেবুর রস বা ডাবের পানি ডায়েটে রাখুন। অনেকেই সকালে পাউরুটি খেয়ে থাকেন। এটাও ভুল ডায়েট। কেননা, পাউরুটি শরীরের পানি শুষে নেয়

সেই সঙ্গে মা- বোনদের নিষেধগুলো একটু মানুন। কথা বলতে বলতে কখনোই খাবেন না। এতে ফুসফুসে বাতাসে টান পড়ে। গিলতে অসুবিধা হয়। আর ভালো করে না-চিবোনোর জন্য খাবার হজমে সমস্যা দেয়। আর মিল নেয়ার পর অল্প ফল বা বাদাম খেতে পারেন। খাবার হজমে সাহায্য করবে। তবে খাবারের বিকল্প হিসেবে কখনোই খাবেন না।

সূত্র : ওয়েবসাইট।

Similar Posts

error: Content is protected !!