বাজিতপুরে তাবলীগ ও পীরপন্থিদের সংঘর্ষে আহত ১০, মামলা

মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর ।।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের লৌহগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামে তাবলীগপন্থি আবুল কাশেম ও পীরপন্থি হাবিবুর রহমান শিশু মিয়ার লোকজনের মাঝে তুমুল সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষের অন্তত ৪০-৪২টি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে বলে গ্রামবাসী ধারণা করছেন। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার সকালের দিকে।

পীরপন্থি হাবিবুর রহমান শিশু মিয়ার সমর্থকদের মামলা বাজিতপুর থানা পুলিশ নিলেও তাবলীগপন্থি আবুল কাশেমের মামলা নেয়নি বলে তার অভিযোগ। আহতরা হলেন, রহিমা খাতুন (৪৫), অঞ্জনা খাতুন (২৩), মো: আব্দুল (২৫), মুন্নি আক্তার (২২), ময়না বেগম (৩০), মিজানুর রহমান শিশু মিয়া (৫৫)।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপরপক্ষ আবুল কাশেম ও তার কয়েকশ’ লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লৌহগাঁও উত্তরপাড়ার মিজানুর রহমান শিশু মিয়ার বাড়ি-ঘর ভাংচুর, বাদল মিয়ার, শুক্কুর মিয়ার, আলিফ লাম, বিউটি আক্তার, রবিউল্লাহ, আফো মিয়া, সাফো মিয়া, তাহু মিয়া, সাহানুর মিয়া, ময়না বেগমসহ চল্লিশটি ঘর ভাংচুর ও এসব ঘর থেকে নগদ ৭০-৮০ লক্ষ টাকা, ৪০-৫০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

অপর পক্ষ আবুল কাশেম জানান, তার বাড়ির আত্মীয়-স্বজনের ৬টি ঘর ভাংচুর, লুটপাট, নগদ ১১ লক্ষ টাকাসহ অন্তত ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে হাবিবুর রহমান শিশু মিয়ার লোকজন বলে তিনি দাবি করেন। আবুল কাশেম আরও বলেন, ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার হাবিবুর রহমান শিশুর লোকজন মিছিল নিয়ে অশ্লীল গালমন্দ করেছে। এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান শিশু মিয়া বাদী হয়ে আবুল কাশেমকে প্রধান আসামি করে জয়নাল আবেদীন, ময়না মিয়া, সোমন মিয়া, জিয়া মিয়া, আরব আলী, আক্কল আলী, ওয়াসকরুনী, সম্রাট মিয়াসহ ২৫ জনের নামে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এলাকায় এখনো পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!