আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসুর নাম-পরিচয় ব্যবহার করে উপজেলার সূতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করছে একটি চক্র। শুক্রবার (২২ এপ্রিল ২০২২) এ তথ্য জানান করিমগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু।
ইউএনও জানান, তার নাম-পরিচয়ে একটি প্রতারক চক্র শুক্রবার উপজেলার সূতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. তোফায়েল আহম্মেদের কাছে চাঁদা দাবি করে। সচিবসহ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে সব ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোন করে সতর্ক করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এছাড়া তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন পলাশ কুমার বসু।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন করিমগঞ্জ ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাসও দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় করিমগঞ্জ থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সূতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব তোফায়েল ও মেম্বার কুতুব উদ্দিনকে ফোনে ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, এই নম্বর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু পরিচয়ে আমার মুঠোফোনে ফোন আসে এবং ৩, ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারদের জরুরি ভিত্তিতে ০১৮৭৪৭৮৫৭৫০ নাম্বারে কল দিতেও বলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে মেম্বারদের ওই নাম্বারে ফোন করতে বলি এবং বিষয়টি ইউএনও স্যারকেও অবহিত করি।
সূতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. কুতুব উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে ইউএনও পলাশ কুমার বসু পরিচয়ে ফোনে বলা হয়, আমি অনেক দূরে আছি, আমার কিছু টাকার বিশেষ প্রয়োজন। যে নম্বরে কথা বলছি এই নম্বরে ১৫-২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দাও। পাঁচ বছর আমি তোমাকে দেখে রাখব। “পাঁচ বছর তোমাকে দেখে রাখব” কথাটি মেম্বারের কাছে প্রতারণামূলক মনে হলে তিনি তার সচিব ও ইউএনওর কাছে ফোন দেন এবং বিষয়টি যে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ তা ইউএনও তাকে নিশ্চিত করেন।
করিমগঞ্জ থানার ওসি শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, ইউএনওর কাছ থেকে ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টার কথা জানান ওসি।
সূত্র : যুগান্তর