আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
দুই আত্মীয়কে বাড়িতে ডেকে মহিলাকে গণধর্ষণ করিয়ে অভিযুক্ত স্বামী বলেন, “পণের টাকা দেবে না তোমার বাড়ির লোকজন? তোমার গণধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দিয়ে টাকা উপার্জন করব।”
স্ত্রীর বাপেরবাড়ির লোকেরা দেড় লাখ টাকা বিয়ের পণ দিতে পারেননি। সেই টাকা আদায়ে আত্মীয়দের দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করালেন স্বামী। তার ভিডিও-ও করলেন। পণের টাকা না পেলে সেই ভিডিও পর্ন সাইটে আপলোড করারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের ভরতপুরের। স্বামী এবং তাঁর দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন মহিলা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, পণের জন্য বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেরা সেই টাকা না দিতে পারায় স্বামী দুই আত্মীয়কে দিয়ে গণধর্ষণ করায়। সেই ঘটনার ভিডিও করা হয়। তাঁর স্বামী হুমকি দিয়েছেন, যদি পণের টাকা না পান তা হলে এই ভিডিও পর্ন সাইট এবং ইউটিউবে আপলোড করবেন। এমনকি এই ভিডিও তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেদের দেখিয়ে টাকা আদায় করবেন বলেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ইউটিউবে আপলোড করেছেন তাঁর স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-এ হরিয়ানায় বিয়ে হয় এই দম্পতির। অভিযোগ, তার পর থেকেই পণ নিয়ে মহিলার ওপর নানা রকম চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। মাঝে তিনি বাপেরবাড়ি চলে যান। কিন্তু তাঁর স্বামী নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে ফের তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। তার পর দুই আত্মীয়কে বাড়িতে ডেকে মহিলাকে গণধর্ষণ করিয়ে অভিযুক্ত স্বামী বলেন, “পণের টাকা দেবে না তোমার বাড়ির লোকজন? তোমার গণধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দিয়ে টাকা উপার্জন করব।”
সূত্র : আনন্দবাজার