হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশংকা

সংবাদদাতা ।।
চৈত্রের মাঝামাঝিতে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিতে হাওরের বোরো ধানের ক্ষেতে হাঁটু পানি কলকল করছে। আর ক’ দিন পরেই ধান কেটে ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত বৃষ্টি হওয়ায় হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

হাওরের ধনু ও ঘোড়াউত্রা নদীর পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টির পানিতে জমির আইল ডুবে গেছে। নিকলী উপজেলার বড় হাওর ও জোয়ানশাহী হাওরে হাজার হাজার একর জমি বোরো ফসল ঘরে তুলতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কৃষক। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে আধাপাকা ধানই কাটা শুরু করেছেন অনেক কৃষক। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।

cutting_paddy

পুরো এলাকার জমি একফসলি হওয়ায় কৃষকরা বৈশাখ মাসকে ঘিরে সারা বছরের যত স্বপ্ন বুনেন। অনেকেই ধান পুরো না পাকার পরও কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন শুধু “একেবারে সব নষ্ট হওয়ার থেকে কিছু হলেও যেন গোলায় পুরতে পারেন” এই হিসেব কষে।

উপজেলার নিকলী পূর্বগ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, চন্তিখালীতে তার জমি অত্যধিক বৃষ্টির পানিতে আইল ডুবে গেছে। পানিতে ধান কাটতে অসুবিধা হবে। আর খরচও লাগবে বেশি। তিনি আরো জানান “আমরার আল্লাহ ছারা আর উফায় নাই”।

এ ব্যাপারে সার্ক সেন্টারে কর্মরত বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী হাওর ভূমিপুত্র ড. নিয়াজ পাশা বলেন, ধানকাটার এ সময় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে; যা হাওরে আগাম বন্যার বার্তা বয়ে আনছে। উপকূলীয় এলাকার দূর্যোগের ঘনঘটা মোকাবেলার মতো হাওর এলাকায় আসন্ন আগাম বন্যা প্রতিরোধ প্রস্তুতি থাকা দরকার।

Similar Posts

error: Content is protected !!