আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
আরবি সিয়াম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। কৃচ্ছ্র সাধন করা। ফারসিতে একে বলা হয় রোজা। ইসলাম পূর্বে ও মানুষ সিয়াম পালন করতো। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম পালন ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। সম্ভবত আল্লাহকে তোমরা ভয় করতে পার (সূরা বাকারা)।
পূর্ববর্তী জামানায় রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ ছিল না। হিজরতের পর মদিনায় রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। রাসুল সাঃ ও সাহাবা আজমাইন (রাঃ) রমজানের রোজা রেখেই ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদরের প্রান্তরে সশস্ত্র সংগ্রাম করেন।
রহমত, বরকত ও নাজাতের এই মাসে যারা ৩০টি রোজা রাখবেন রাসুল সাঃ তাদের জন্য ৫টি পুরস্কারের কথা বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে একটি হাদিস রয়েছে। হযরত আবু হুরাইরা রাঃ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে ৫টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে, যা আগের উম্মতদের দেয়া হয়নি। বস্তুগুলো হলো ১. রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আমার কাছে মৃগনাভীর চাইতে বেশি পছন্দনীয়। ২. সমুদ্রের মৎস্যকুল রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত দোয়া করতে থাকেন। ৩. প্রতিদিন জান্নাতকে সাজানো হয়, এবং আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন বান্দাগণ দুনিয়ার কষ্ট যাতনা দূর করে অচিরেই তোমার নিকট আসছে। ৪. রমজান মাসে দুর্বৃত্তায়ন শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়। যার দরুন সে ঐ পাপ করাতে পারে না, যা অন্য মাসে করানো সম্ভব। ৫. রমজানের শেষ রাতে রোজাদারের গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। তখন আবু হুরাইরা রাঃ বলেন এটি কি ক্বদরের রাত্রি? রাসুল সাঃ বললেন, না। যে কাজ করে তার পুরস্কার কাজের শেষেই দেয়া হয়। (সূত্র আহমদ, বায়হাকী) আমরা রমজানের রোজা সঠিকভাবে পালন করে পুরস্কৃত হব।