মা’র কাছে খোলা চিঠি
সানি সূত্রধর
কতটা বয়স পার করেছি জানি না!
হবে হয়তো, সাঁইত্রিশ আটত্রিশ।
সত্যি করে বলো তো মা আমার বয়স কত?
তুমি কি নিশ্চুপ থাকবে, ঐ তুলশি গাছটির মতো?
যার স্পর্শে তুমি ঘুমিয়ে রয়েছ তেত্রিশটি বছর
লতায় মোড়ানো গাছটিও আজ সুশোভিত ফুলে ফলে
অথচ, আজ তোর প্রিয় সন্তানেরা ঘর ছাড়া
কে কোথায় থাকে তার খবরও তুই রাখিস না।
মা, ও মা, তুমি এত নিষ্ঠুর কেন?
ছায়াঘেরা তুলশি মঞ্চে বসে কত কেঁদেছি!
তবুও তুমি দেখা দাওনি বলোনি এসে
কাঁদিস না বাছা, আমি আবার আসব পৌষের শেষে।
মা, তুমি একবার এসো, পুকুরপাড়ের ঐ পথটি ধরে
দেখে যাও তোমার ছোট্ট সোনারা আজ কত বড় হয়েছে
ওরা আজ ছেলে পুলে নিয়ে সংসার পেতেছে
বেঁচে তবু আছে, মা হারা বিরহের শত ব্যথা বুকে নিয়ে।
মা, ও মা, তুমি কেমন আছ?
মা! তোমার দেশে কি আজ বসন্ত না বরষা?
হে রাধা-মাধব যদি আসে কখনো
আমার মরণ তবুও ছাড়িবো না তোমার চরণ।
তোমার শেখানো এই বাক্যটুকুই আমার ভরসা।
মা, মর্তের খবর পাও কি তুমি স্বর্গে বসে?
আমরা আছি অনেক সুখে, থাকিস মা তুই হাসি মুখে
স্বর্গে বসে করিস আশীর্বাদ,
তোর সন্তানেরা যেন থাকে দুধে ভাতে।